টিকার দুই ডোজের ব্যবধান কমানো যায় কি-না, তা খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২১, ১৫:২২ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৬
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানো যায় কি-না, তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৩ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে যে শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা ইন্ডাস্ট্রি, প্রোডাকশন, পণ্যের সরবরাহ এগুলো আমরা কখনই বন্ধ করিনি। এই কয়েকটি (ঈদের পর বিধিনিষেধ) দিন ছাড়া। সেজন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের মন্ত্রণালয় একটা চুক্তির মতো করেও ফেলেছে, ছয় কোটি ভ্যাকসিন পাবে সিনোফার্ম থেকে। টিকা পাওয়া গেলেই দ্রুত কীভাবে শ্রমিকদের আলাদা প্রোগ্রামের আওতায় এনে দিয়ে দেয়া যায় সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এটা কনফার্ম করেছেন, উনি এটা দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শুধু শ্রমিকরা নয়, তাদের পরিবারসহ টিকা দিতে হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আমরা যে এক মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজ দিচ্ছি, অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে আরও কম সময়ে দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছে, সেই বিষয়টিও বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। টেকনিক্যালি এটা করা যায় কিনা...এটা টেকনিক্যাল বিষয়, আপনি-আমি তো জোর করে কিছু বলতে পারবো না। অনেক দেশে গ্যাপটা কমিয়ে নিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে একটা মানুষের সেফটিটা বেশি হয়ে যাবে।’
‘টেকনিক্যাল সাইড দেখে কম সময়ের গ্যাপে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায় কি-না তা দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী’ বলেন তিনি।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদেরকে এখন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দ্বিতীয় ডোজের সময়টা একটু কমিয়ে দেয়া যায় কিনা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা এক মাসে দিচ্ছি। এক মাসের পরিবর্তে আমরা ১৫ বা ২০ দিন করে দিতে পারি কিনা, এ বিষয়টি আমাদেরকে দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয়, আমরা সেটা করবো।’
এ পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি ২৪ লাখ করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন।
টিকার স্বল্পতায় গণটিকাদান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে সরকার। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আপাতত গণটিকা কার্যক্রম নয়। নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে হবে।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ আর নারী ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ আর নারী ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৯ জন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত