জ্বালানি তেল নিয়ে ৬ মাস দুঃশ্চিন্তা নেই : বিপিসি চেয়ারম্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২, ১৫:৪১ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯

দেশে পেট্রোল ও অকটেনের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ৬ মাসের তেল আমদানির শিডিউলও নিশ্চিত আছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। বিপিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, পেট্রোল পাম্প বন্ধের বিষয়টি এখনো চুড়ান্ত হয়নি। দেশে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আরো ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আসবে। তাছাড়া যে পরিমান তেলের মজুত আছে, তা নিয়ে দুঃচিন্তার কিছু নেই।  

দেশে পেট্রোল ও অকটেনের মজুত নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গুজব’ রটানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্পে তেল সরবরাহ কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তেল নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো সীমাবাধা নেই। বর্তমানে দেশে ডিজেল মজুদ আছে ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুদ আছে ৪৪ দিনের। আমদানি শিডিউল অনুযায়ী দেশের জ্বালানির আমদানির নিশ্চয়তা আছে। এ নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই।
 
তিনি বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিপিসির চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের সরবরাহ লাইন এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। সরকার চাইছে দেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে। এ লক্ষ্যে আমরা (বিপিসি) কাজ করছি। 

এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (অপারেশন্স ও পরিকল্পনা) ও অতিরিক্ত সচিব খালিদ আহম্মেদ বাংলাভিশনকে বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ জ্বালানি আছে তা যথেষ্ট বলা যায়। আমাদের জ্বালাতি তেলের মধ্যে পেট্রোল ৩৫ দিন, ডিজেল ৪৫ দিন, অকটেন ৩৫ দিন, জেট ফুয়েল ৪৬ দিন এবং ফার্নেস অয়েল ৫৮ দিনের মজুদ আছে।

বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির বিভিন্ন ডিপোতে এবং ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এসব জ্বালানি তেল সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মজুদ ক্ষমতা দিয়ে দেশে ৪৫ দিনের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করা যায়। যদিও জ্বালানি নীতিমালায় দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ৬০ দিনের মজুদ ক্ষমতা গড়ে তোলার বিষয়টি উল্লেখ আছে।

বিপিসির কর্মকর্তা জানান, দেশে ডিজেলের মজুদ ক্ষমতা ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। অকটেন মজুদ ক্ষমতা ৪৬ হাজার মেট্রিক টন, পেট্রল ৩২ হাজার মেট্রিক টন, কেরোসিন ৪২ হাজার মেট্রিক টন। আর ফার্নেস অয়েল মজুদ রাখা যায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

চলতি মাসের ২৫ দিনের জ্বালানি তেল বিক্রির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে দৈনিক ডিজেলের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন। ফার্নেস অয়েলের চাহিদা দৈনিক ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। অকটেন চাহিদা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। পেট্রোলের চাহিদা ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এছাড়া জেট ফুয়েল দৈনিক ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন করে বিক্রি হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেলের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। সরকারি এই ঘোষণার পর একদিনের ব্যবধানে ডিজেল বিক্রি কমেছে প্রায় ৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত