জ্বর আসছে না, স্বাদ-গন্ধ হারানোর উপসর্গও গায়েব!
প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৩৮ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৯
রূপ বদলে ফেলেছে করোনা! কোভিডের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন এখন গোটা বিশ্বের চিন্তার কারণ। এদিকে গবেষকদের কাছে বড় চিন্তা, করোনার এই ভ্যারিয়্যান্ট তার নিজের রূপ বদলে ফেলেছে সম্পূর্ণভাবে। চেনা দায়। ওমিক্রন আক্রান্তদের গন্ধ যাচ্ছে না, এমনকী জ্বর পর্যন্ত আসছে না বলে দাবি করছেন গবেষকদের একাংশ। করোনার স্বাভাবিক উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল জ্বর, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, সর্দি, কাশি। কিন্তু, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েসনের চেয়ারপার্সন ডা: অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি জানিয়েছেন, যাঁরা ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার মতো কোনও উপসর্গ নেই। পরিবর্তে তাঁদের মধ্যে নতুন একগুচ্ছ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
কী এই নতুন উপসর্গগুলি?
এই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, করোনার নতুন উপসর্গগুলি হল- শরীরে দুর্বল ভাব, শরীরে যন্ত্রণা। Dr Angelique Coetzee জানাচ্ছেন, অনেক ওমিক্রন আক্রান্তের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে চূড়ান্ত মাথাব্যাথায় ভুগছেন তাঁরা। দেহে জ্বর না আসার মতো উপসর্গগুলি যদি চলে যায় সেক্ষেত্রে করোনা চিহ্নিত হতে সময় লাগবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশে ধরা পড়েছে Omicron Variant। কর্নাটকের দুই বাসিন্দার দেহে প্রথম এই কোভিড ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৬ এবং অপরজনের বয়স ৪৬। আপাতত তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এদিকে, ওমিক্রন আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৫ জন কোভিড পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে।
ওমিক্রনের উৎস কোথায়?
Omicron-এ আক্রান্তদের একজন হলেন ইজরায়েলের চিকিৎসক ড. এলাড মোর। তিনি দাবি করেছেন, লন্ডনে চিকিৎসকদের জন্য আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সম্মেলন থেকেই তাঁর দেহে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন ভাইরাস, দাবি করেছেন এই চিকিৎসক। কোথা থেকে শুরু হয়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই এই কোভিড ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কীভাবে ওমিক্রন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব?
গবেষকদের একাংশের কথায়, করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এক্ষেত্রে হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রাথমিকভাবে গবেষকরা আশঙ্কা করছিলেন, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়্যান্ট হয়ত ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দিতে পারবে। যদিও কোভ্যাক্সিন এই ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী বলে মনে করছেন গবেষকদের একাংশ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত