জেলায় জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৫ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

দেশের ২২ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরও কয়েকদিন এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।’

কুয়াশা নিয়ে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে ও দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।’

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বলা হয়, ‘কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’

এদিকে হিমালয়ের হিমশহর পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে আরও দুইদিন তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঘনকুয়াশার সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। এতে করে জেলার সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম বিপাকে পড়েছে এ জেলার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষেরা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা আজও সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন বেলা বাড়লে দেখা মিলেনি সূর্যের। এর আগে গতকাল (শুক্রবার) চলতি শীত মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত থাকায় অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। তবে প্রয়োজনে কিছু সংখ্যক মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে তীব্র শীতে প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে গ্রামগুলোর অবস্থা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জান রোকন বলেন, আগামী দুইদিন তাপমাত্রা ওঠানামার মাঝে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে। আজ সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা। অপরদিকে জেলার নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারিভাবে জেলা প্রশাসন সাড়ে ৩৩ হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছে।  তবে এ অঞ্চলের জন্য এ পরিমাণ পর্যাপ্ত না হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয়রা।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত