জুরাইনে পুলিশ-আইনজীবী যেই অপরাধ করুক তার বিচার হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২২, ১২:২২ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯
রাজধানীর জুরাইনে হামলার ঘটনায় পুলিশ যদি অপরাধ করে তবে তার বিচার হবে, আইনজীবী যদি অপরাধ করে থাকেন তবে তারও বিচার হবে- বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় দুই আইনজীবীসহ পাঁচজনকে রিমান্ডের বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি।
পরে আইনজীবী রিমান্ডের বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি মুলতুবি করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে নিচের কোর্টে জামিন চাইতে বললেন সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষকে রোববারের মধ্যে নিয়মিত আপিল করারও নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৭ জুন) জুরাইন রেলগেট এলাকায় রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। আহতরা হলেন- ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল দত্ত অপু।
জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে জুরাইন রেলগেট সড়কের উল্টোদিক দিয়ে স্বামী ইয়াসিনের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে আসছিলেন অ্যাডভোকেট নিশাত। এসময় সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজ তাদের গতিরোধ করেন। নিশাত নিজেকে অ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ইয়াসিন মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন। এসময় অ্যাডভোকেট নিশাত চিৎকার শুরু করলে পাঠাও ও অটোরিকশা চালকরা সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই শ্যামপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাড়ে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন।
পরদিন বুধবার এ ঘটনায় দুই আইনজীবীসহ গ্রেপ্তার পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাদের রিমান্ড আদেশ দেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত