জুনে একসঙ্গে আসতে পারে আইএমএফ ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪২ | আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮

দুটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুনে একসঙ্গে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপনে করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, আমাদের কিছু কাজ আছে। আমরা অত তাড়া করছি না। আমি একটা জিনিস বলি, আপনারা তো ভাবছেন ভিক্ষা করে নিয়ে আসি, আসলে অনেক শর্ত মেনে এবং আমাদের নিজস্ব তাগিদে। কিছু শর্ত আছে বললেই আমরা পালন করবো, তা নয়। এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ভালো। আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না।’
আগামী মার্চে কি আইএমএফ পর্ষদে প্রস্তাব উঠছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মার্চে না আমরা বলছি একটু অপেক্ষা করবো, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির প্রস্তাব এক সঙ্গে উঠবে।
আইএমএফের কাছ থেকে এই ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাওয়ার জন্য আর্থিক খাতে নানা ধরনের সংস্কারের শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে চতুর্থ কিস্তিতে অর্থ পেতে শর্ত ছিল চারটি।
সেগুলো হল অর্থনীতির বহির্চাপ সামাল দিতে রাজস্ব আদায় জোরদার করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির ভঙ্গি আরও সঙ্কুচিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে নীতিমালার বাস্তবায়ন। এর মধ্যে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণ নিয়ে শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আইএমএফ সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব প্রথম দফায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের সভায় উত্থাপনের কথা ছিল। ওই মাসেই এ অর্থ ছাড় হওয়ার কথা ছিল। থাকলেও তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়। এখন তা আরও পিছিয়ে জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বোর্ড সভায় তোলা হবে। বোর্ড অনুমোদন করলে তার কয়েক দিন পর দুই কিস্তির অর্থ এক সঙ্গে ছাড় হতে পারে।
উল্লেখ্য, তৎকালীন সরকার ২০২২ সালে আইএমএফের সাথে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের এই ঋণ চুক্তি করে। সাত কিস্তিতে এই ঋণ ছাড় হওয়ার কথা। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রথম কিস্তি ছাড় করে আইএমএফ। এর পরে আরও দুটি কিস্তি ছাড়া হয়েছে। সর্বশেষ কিস্তি ছাড় হয়েছে গত বছরের জুনে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে কোনো কিস্তি ছাড় করেনি আইএমএফ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত