জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এর খসড়া অনুমোদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২২, ২০:১১ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০

২০৩০ সালের মধ্যে আধুনিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতায় সক্ষম শিল্প খাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভাকক্ষে মন্ত্রী ও সচিবরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে কেবিনেট সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিল্প নীতির খসড়ায় দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদের সুষম ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা এবং খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। আধুনিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতায় সক্ষম শিল্পপণ্য উৎপাদনকে শক্তিশালী ভিত দিতে জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে (শিল্পনীতি) ২০টি অধ্যায় রয়েছে। এটি রফতানিমুখী শিল্পের উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণ, সেবা খাতের উন্নয়ন আইসিটিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প খাতের অবকাঠামো শক্তিশালী করতে, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বেসরকারি বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য অবকাঠামোগত বাধা দূর করাসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে নীতিমালাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ‘দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদের সুষম ব্যবহার করে শিল্পায়নের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ধারণ করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করাসহ খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনের জন্য শিল্পনীতি ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে।

‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিল্পনীতি ২০২২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে আধুনিক আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতায় সক্ষম শিল্পপণ্য উৎপাদনের শক্তিশালী ভিত তৈরি হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত