জাতীয় ঐক্য তৈরির চেষ্টা করছি, সামনে ডাক আসছে : খন্দকার মোশাররফ
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:০৭ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্য তৈরির চেষ্টা করছি, সামনে ডাক আসছে। যার যার অবস্থান থেকে যুগপৎ একই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব। সবাই একত্রিত হয়ে এ সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নিতে বাধ্য করব, ইনশাআল্লাহ।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আজ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডাক আসার সঙ্গে সঙ্গে একসঙ্গে আন্দোলনে নামতে হবে।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে যেকোনো স্বৈরাচার সরকার যে পথে বিদায় হয়েছে, সে রাজপথই আমরা বেছে নিতে বাধ্য হব।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে, তাদের দেশের এবং জনগণের পক্ষে কাজ করার কথা। কিন্তু, তা না করে তারা সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনগণের টাকায় যারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন, তাঁরাও জনগণের কথা না বলে আওয়ামী লীগের কথা বলছেন।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ২০ দলীয় জোট আগেই জানিয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। কেননা, শেখ হাসিনার অধীনে বিগত দুটি নির্বাচন প্রমাণ। যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, জনগণ ভোট দিতে পারে না, সে নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না।’
মোশাররফ বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রেসিডেন্ট সাহেব সংলাপের নামে একটি নাটক করলেন। আমরা আগেও বলেছি, এটা একটা নাটক ছিল। সরকার দেশের জনগণকে আবার ধোঁকা দেওয়ার জন্য একটি আইন করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট সেটা করেননি। এটা করা হয়েছে আইনের মাধ্যমে। যাঁদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাঁরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের দিয়ে আজ সার্চ কমিটি। কী সার্চ কমিটি! মাশাআল্লাহ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এ সরকার থাকলে সার্চ কমিটি তাদের হবে। এ সার্চ কমিটিকে শেখ হাসিনা বা সরকার যাঁদের নাম দেবে, তাঁরাই নির্বাচন কমিশনার হবে। এটাতে অংশগ্রহণ করা নিয়ে মাথা ঘামানো আমরা মনে করি অর্থহীন। এটা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার সরকারের আরেকটি নাটক। এটা সরকারের চুরির, ডাকাতির নির্বাচন করার জন্য।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত