জব্দ করা বাস চালিয়ে দুইজনকে পিষে মারলেন পুলিশ কর্মকর্তা

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৫২ |  আপডেট  : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৪

রাজধানীর গুলিস্তানে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের বিপরীত পাশে শ্রাবণ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির একটি বাসের চাপায় ২ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। পুলিশের একজন এএসআই বাসটি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বাসটি আটক করে পল্টন থানায় নেওয়া হয়। এ ঘটনায় এএসআই এমদাদকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার আবুল হাসান। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

নিহতরা হলেন, আমেরিকা প্রবাসী শুকুর মাহমুদ বাবুল (৫৮) ও রাইসুল কবির তুষার (৩৫)। দুর্ঘটনার পর তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর মাহমুদকে পৌনে চারটায় মৃত ঘোষণা করেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৬টায় মারা যান তুষার। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি আবদুল আহাদ জানান, গাড়িটি গুলিস্তান এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটায়। এতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেসময় গাড়িচালক ও হেলপার পালিয়ে যান। এএসআই তখন গাড়িটি চালিয়ে সেটিকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।

আটক পরিবহণটিতে কর্মরত কয়েকজন জানান, শ্রাবণ পরিবহণের গুলিস্তান-মদনপুর রুটের বাসটি গুলিস্তান এলাকায় পৌঁছানোর পর এএসআই এমদাদ বাসটিকে আটক করেন। এরপর তিনি যাত্রীদের নামিয়ে নিজেই বাসটি চালিয়ে আহাদ পুলিশ বক্সের কাছে আনার চেষ্টা করেন। কয়েকশ গজ চালিয়ে যাওয়ার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। একটি রিকশা ও সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দেয়। এতে একজন নিহত ও দুইজন আহত হন।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নিহত শুকুরের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে সকালে ঢাকায় ব্যক্তিগত কাজে এসে গুলিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তার ভাই। ১৯৮৭ সাল থেকে তার ভাই আমেরিকাতে থাকতেন। আড়াই মাস পূর্বে সেখান থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি আরও জানান, শুকুর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ভুইগর গ্রামের মৃত ডা. আবুল কাশেমের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দির রাঙ্গা শিমুলিয়া গ্রামে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়।

নিহত তুষারের সহকর্মী জাহিদুল ইসলাম জানান, তুষার ড্রিম প্লাস ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি গার্মেন্টস এক্সোসরিজ প্রতিষ্ঠানের কমার্শিয়াল সেকশনে চাকরি করতেন। দুপুরে পল্টনের অফিস থেকে অফিশিয়াল কাজে সদরঘাট গিয়েছিলেন। সেখান থেকে অফিসে ফেরার পথে গুলিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি জানান, তুষার পশ্চিম জুরাইন খন্দকার রোডের স্থায়ী বাসিন্দা কামাল উদ্দিন দুলালের ছেলে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত