ছয় চিনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:১৩ |  আপডেট  : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৫

নিজেদের আকাশসীমায় বেলুন দিয়ে নজরদারির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে ছয় চিনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সপ্তাহখানেক আগে একটি বেলুন ভূপাতিত করার পর শুক্রবার এমন পদক্ষেপের কথা জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনা বেলুনটি দেখা যাওয়ার পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ দুটির মধ্যে এ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার মধ্যেই এমন সিদ্ধান্তের কথা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হল- বেইজিং নানজিয়াং অ্যারোস্পেস টেকনোলজি, চায়না ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশনের ৪৮তম গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডংগুয়ান লিংকং রিমোট সেন্সিং টেকনোলজি কো, ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ, কুয়াংচৌ তিয়ান-হাই-জিয়াং এভিয়েশন টেকনোলজি ও শানশি ঈগলস মেন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ।

এসব কোম্পানি চীনা সরকারের আধুনিক নজরদারি কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে আসছিল বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা ব্যুরো।

তারা এও বলেছে, এই কোম্পানিগুলোর এয়ারশিপ ও বেলুন এবং এই সম্পর্কিত উপকরণ ও উপাদান ব্যবহার করে নজরদারি চালিয়ে আসছে চীনা সেনাবাহিনী।

জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এমন কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কখনও ইতস্ততা করবে না বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়।

গত ৪ ফেব্রয়ারি নিজেদের আকাশসীমায় যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে ওই ‌বেলুন ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, চীনা ওই বেলুন বিভিন্ন মার্কিন সামরিক স্থাপনার ওপর নজরদারি করেছে। চীনা সেনাবাহিনী ওই বিস্তৃত নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের।

তবে বেলুনটির মালিকানা স্বীকার করে চীন বলেছিল, সেটি একটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বেলুন। দমকা বাতাসে সেটি এর নির্ধারিত পথ থেকে সরে গেছে।

শিল্প ও নিরাপত্তা ব্যুরোর আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এস্তেভেজ বলেন, চীনের বেলুন ব্যবহারের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় এসব কোম্পনির তালিকাভুক্তি বৈশ্বিক অন্য কোম্পানি, সরকার এবং অন্য অংশীজনদের জন্য সুস্পষ্ট বার্তা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

বিশ্ব বাজারে নিজেদের অবস্থানের সুবিধা নিয়ে যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতি ও হুমকির কারণ হতে পারে সেগুলোকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সম্পর্ক ছিন্ন করতে এ তালিকা শক্তিশালী একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

একই সঙ্গে যেসব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে সেগুলোকে মার্কিন প্রযুক্তিতে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল, বলেন অ্যালান এস্তেভেজ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত