এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়
ছাত্রীকে মুঠো ফোনে প্রেমের প্রস্তাব ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতার!

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৩৩ | আপডেট : ২ মে ২০২৫, ২২:০৪

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা প্রকাশ্যে এলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।অভিযুক্ত আব্দুল হালিম একাধারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেবীগঞ্জ উপজেলা আমির,সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিবাহ রেজিস্ট্রার এবং খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট,ফুলবাড়ি বাজার জামে মসজিদের ইমাম। শিক্ষক ও একজন চেয়ারম্যান এই অসামাজি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি র দাবি স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।
জানা গেছে,দেবীগঞ্জ ফুলবাড়ি এলাকার রফিক হাসান ও পাশের ষোলঘর এলাকার মিমি আক্তার চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।চাকুরির সুবাদে স্বামী ঢাকায় থাকেন।মিমি খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসা থেকে গত বছরে দাখিল পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।চেয়ারম্যান তার স্যার হওয়ায় মেয়ের বাড়িতে যাতাযাত ছিল।পর্যায়ক্রমে চেয়ারম্যান বিভিন্ন লোভ লালসা দিয়ে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।মোবাইলে প্রতিদিন মেসেজ আদান প্রদান হয়।বিষয়টি মিমির স্বামী বুঝতে পারে,ঈদে বাড়িতে আসে স্ত্রীসহ তার পরিবারকে সংশোধন হওয়ার কথা জানান।সংশোধন না হয়ে তাদের কার্যকলাপ চলমান থাকে।সম্প্রতি ঢাকা থেকে তার স্বামী সরাসরি শশুর বাড়ি গিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে শতশত মেসেজ দিয়েছে চেয়ারম্যান।
স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে,মসজিদের ইমাম থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।পরে দেবীগঞ্জ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা আবুল বাশার বসুনিয়া এসে ১৫ দিন সময় নেয়।শিক্ষক ও একজন চেয়ারম্যান এই অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
ভিকটিম বলেন,মাদরাসায় পড়ার সুবাদে স্যার আমাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনে।সে সুবাদে একদিন পড়া দেখিয়ে দিতে আসে।তারপর কয়েকমাস হল হালিম কাজী আমাকে মেসেজে তোমাকে ভালবাসি তোমার কোন ক্ষতি করবোনা।এরপর কুপ্রস্তাব দেয়। আমি রিপ্লাই দিয়ে বলেছিলাম ম্যাডামকে বলে দিব। পরে আর কিছুদিন মেসেজ দেয়নি।বাড়িতেও মাঝে মাঝে আসে।আবার শুরু হয় মেসেজ।আমার জন্য ফুলবাগান সাজিয়ে রেখেছে, সেই ফুল বাগানের ভোমরা হবোসহ বিভন্ন কিছু লেখা পাঠায়।চেয়ারম্যানের জন্য আমার সংসার ভাঙতে বসেছে, আমি তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করে স্বাভাবিকভাবে স্বামী সংসারে ফিরে যেতে চাই।
রফিক হাসান বলেন,আমার স্ত্রীসহ তার পরিবারকে আগেই সংশোধনের কথা বলেছি।কিন্তু সংশোধন হয়নি।আমি যখন বুঝতে পারলাম তাদের সম্পর্ক চলমান। কাউকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে গত সপ্তাহে সরাসরি শশুর বাড়ি গিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে, সেখানে শতশত মেসেজ দেখি।বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।এই ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।তবে ভিডবিøউবি(ভিজিডি) আবেদনের জন্য কল দিয়েছিলাম।ফোন না ধরায় একটা এসএমএস করেছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত