ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে বললেন ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ২০:৫৮ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে এদেশে একটি গোষ্ঠী উচ্ছসিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এখনও চলমান। বাংলার বাতাসে এখনও ষড়যন্ত্রের গন্ধ। তরুণদের সতর্ক হতে হবে। সামনের দিনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এখানে যারা উল্লসিত তাদের মতলব কি, উদ্দেশ্য কি তা বুঝতে হবে।’
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। ফলে অনেক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। এবার মাঠে নামবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার হঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেরা নিজেদের শত্রু হবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক আন্দোলনের কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক এসব আন্দোলন তো আমরা দেখেছি। আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা আমরা দেখেছি। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে অস্থিতিশীলতার প্রস্তুতিও তারা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকে, ষড়যন্ত্রের স্রোতকে আরও তীব্র করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই ছাত্রলীগকে আজ আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মেধা সৎ ছাত্র রাজনীতি আজকের বাস্তবতা। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করে মাঠে নামতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামকে এতো প্রশ্ন করি তিনি জবাব দেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোস্তাকের প্রধান সেনাপতি কে ছিলো? বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কে বিদেশে পাঠিয়েছিলো, কে খুনীদের বিদেশে চাকরি, পুরস্কৃত করেছিলো। উত্তর দিতে পারবেন না। এ জন্য আগস্ট মাস এলে তাদের গাত্র জ্বালা করে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্তে কেন স্কটল্যাড ইর্য়াডকে তদন্ত করতে দিলো না। কেন এফবিআইকে আসতে দিলো না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পঞ্চম জন্ম দিন। আরও একটি জন্ম দিন দেখলাম করোনার টিকা নেওয়ার সময় রেজিস্ট্রেশনে। একটা মানুষের দুই টা জন্ম দিন হতে পারে, সার্টিফিকেটের একটি জন্ম দিন। কিন্তু একটা মানুষের ৬টি জন্ম দিন হয় কিভাবে। যদি ৬টি জন্ম দিন হয় তবে বেগম জিয়াকে নোবেল পুরস্কার দিতে হয়। আমি বেগম জিয়ার জন্মদিন নিয়ে কথা বলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদের শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। আমি হাওয়া থেকে পাওয়া কথা বলছি না। আমি জীবনী থেকে পাওয়া কথা বলছি। আমি বলেই যাবো যত দিন না মির্জা ফখরুল জাবাব দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সঞ্চলনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত