চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ: তপন বাগচীর বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৭
অন্যের সম্পাদিত লোকসাহিত্য বিষয়ক বই থেকে হুবহু লেখা চুরি করে প্রকাশ করার অভিযোগ তুলে তপন বাগচীর বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই লেখক ও সংগ্রাহক। রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লেখক ও সংগ্রাহক ইকবাল জাফর ও মহসীন দেওয়ান লিটন। এ সময় তারা তপন বাগচীর উপযুক্ত শাস্তিও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, তাদের সংগৃহীত-সম্পাদিত-প্রকাশিত গ্রন্থ ‘গীতিগ্রন্থ’ (মরমী সাধক মাতাল কবি আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ান: বাউল অঞ্চলী, প্রথম খণ্ড) এবং স্মারকগ্রন্থ (মরমী সাধক মাতাল কবি আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ান স্মারকগ্রন্থ: যদি ভুল বুঝে চলে যাও) প্রকাশের পর তা থেকে সব গান চুরি করা হয়েছে। আসল বইটির সংগ্রাহক-সম্পাদক-প্রকাশকদের কৃতিত্ব বাদ দিয়ে নিজেকে সম্পাদক দাবি করে মূল কৃতিত্ব নিয়েছেন তপন বাগচী।
তারা আরও বলেন, ‘আমাদের একটি বই প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে। অন্যটি ২০১৯ সালে। আর তপন বাগচী দুই বই থেকে কপি করে ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তা নিজের নামে প্রকাশ করেছেন।’
ভুক্তভোগী লেখকরা জানান, ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির কাছে অভিযোগ দিলে বইটি বিক্রি, প্রদর্শন ও বহন নিষিদ্ধ করে নোটিশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে তিনি কীভাবে বাংলা একাডেমির মতো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান? তার মতো এমন একজন ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে বাংলা একাডেমির মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার কলঙ্কিত হোক আমরা তা চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল জাফর বলেন, ‘অবিলম্বে তপন বাগচীর মনোনয়ন বাতিল করা হোক। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হোক। তা না হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
গত ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়। এবার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৬ জনের তালিকায় ফোকলোরে অবদানের জন্য যৌথভাবে তপন বাগচী ও সুমন কুমার দাশের নাম ঘোষণা করা হয়।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত