চীন থেকে এলো টিকার সবচেয়ে বড় চালান
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৫ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৩৫
চীন থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা দেশে এসেছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) টিকার এ চালান ঢাকায় আসে। এ নিয়ে এ বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০ কোটিরও বেশি টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করেছে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ৫ কোটি এসেছে কোভ্যাক্সের আওতায়।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউনিসেফ যৌথভাবে মঙ্গলবার সরবরাহ করা টিকার খরচ বহন করবে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতেও বিপুল পরিমাণ টিকা এনেছে, যা সরবরাহে সহায়তা করেছে ইউনিসেফ।
২০২২ সালের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিতের লক্ষ্য পূরণে টিকার ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজের এই চালান সহায়তা করবে। গত ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৮.৪৪ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে।
ইউনিসেফ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা সরবরাহে কাজ করছে। যেটা সারা বিশ্বে টিকাদানের ক্ষেত্রে সরবরাহজনিত একটি জটিল ও বড় কাজ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো সমান অধিকারের ভিত্তিতে সবাইকে টিকা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বব্যাপী টিকা প্রয়োগের হার বাড়ানো।’ তিনি বলে উৎপাদকদের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করে সেটা দেশের নানা প্রান্তে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে মোট ৭ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩৪ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মোট ৫ কোটি ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫২ জন। এদিকে দেশে গতকাল ২৮ ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত