চীনকে রুখতে একাট্টা যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫৮ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১০
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নতুন এক প্রতিরক্ষা চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। ত্রি-পক্ষীয় এই চুক্তির আরেক অংশীদার ব্রিটেন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজের ইস্টরুম থেকে ভার্চুয়াল চুক্তি সই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, নতুন এই প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় প্রশান্ত মহাসাগরে পারমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েনে অস্ট্রেলিয়াকে সার্বিক সহায়তা করবে ব্রিটেন এবং আমেরিকা। এই সাবমেরিনগুলো অসীম রেঞ্জের মধ্যে আরও শব্দহীনভাবে চলাচল করতে পারে এবং এদের অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব।একইসঙ্গে, প্রশান্ত মহাসাগরে পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়াতে কাজ করবে তিন দেশ।
এদিকে, নতুন এই প্রতিরক্ষা চুক্তিকে চীনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দৃশ্যমান সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এমন এক সময়ে চুক্তিটি কার্যকর হলো; যখন দক্ষিণ চীন সাগর থেকে উত্তরে তাইওয়ান পর্যন্ত বিস্তৃত জলসীমায় নিয়মিত টহল শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। বহুদিন ধরেই ওই অঞ্চলকে চীনের অংশ দাবি করে, বহিঃশক্তির উপস্থিতির ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে বেইজিং।
তিন বছর আগে হুয়াওয়েকে নিজেদের টেলিকম নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ করে চীনের বিরাগভাজনে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন চুক্তির মাধ্যমে দেশটি চীনবিরোধী জোটের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিতে অনেকখানি এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নতুন এই চুক্তির ব্যাপারে অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, নতুন চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বরং গতানুগতিক সাবমেরিনগুলোকে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আজ এবং আগামীর হুমকি মোকাবিলায় মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করবে নতুন এই প্রতিরক্ষা চুক্তি। এর মধ্য দিয়ে পুরাতন মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচিত হলো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অপরিদকে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির মধ্য দিয়ে বরিস জনসন ঘোষিত গ্লোবাল ব্রিটেন ধারণার দিকে যুক্তরাজ্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত