চিকিৎসায় ভারতের বিকল্প হচ্ছে চীনের কুনমিং: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৮ | আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৬
বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভারতের বিকল্প হচ্ছে চীনের কুনমিং। এ ব্যাপারে দেশটি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এই কথা জানান। তার চীন সফর সম্পর্কে জানাতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীনের কুনমিং। সেখানে চিকিৎসা খরচ ও যাতায়াতের খরচ তুলনামূলক কম। এ ক্ষেত্রে চীনকে ভিসা ফি কমানোর কথা বলা হয়েছে। যেহেতু ভারত ভিসা বন্ধ রেখেছে, সে ক্ষেত্রে কুনমিং বিকল্প হতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে একটি বড় হাসপাতাল করে দিতে রাজি হয়েছে চীন। সেটির স্থান নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আমরা বলেছি, আমাদের হাতে পূর্বাচলে সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে আমরা জায়গা দেওয়ার কথা তাদের বলেছি।
উপদেষ্টা বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনায় ঋণের সুদ হার কমানো এবং পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে, বিষয়টি দেখবে। এছাড়া, ব্রহ্মপুত্র নদের বিষয়ে একটি সমঝোতা সই হয়েছে। তবে, তিস্তার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসার জন্য কলকাতাসহ দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল ছিল এক সময় ভরসা। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে বাংলাদেশি রোগীরা চাইলেও ভারতে চিকিৎসা করাতে যেতে পারছে না।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশি রোগীদের জন্য নতুন গন্তব্যের সন্ধান শুরু করে। আর সেই নতুন গন্তব্য হলো চীন, বিশেষ করে চির বসন্তের শহর কুনমিং।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বাংলাদেশের রোগীদের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের যে বিশাল আয়ের উৎস তৈরি হয়েছিল, তা এখন প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
কলকাতার হাসপাতালগুলোর হিসাবে, বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। এই ক্ষতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো প্রথমে এটি সাময়িক বলে মনে করেছিল। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কে ক্রমাগত অবনতির ফলে তারা এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত