চলছে বিজিবির টহল, তবুও যাত্রী নিয়ে ছাড়লো ফেরি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ মে ২০২১, ১১:৫৪ |  আপডেট  : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১

ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। রবিবার বিজিবির চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণাঞ্চলগামী হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই ভিড়ও বাড়তে থাকে। বিআইডব্লিউটিসি রাতভর ১৫ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করলেও রবিবার ভোর থেকে থেকে পারাপার বন্ধ করে দেয়। তবে আটটি অ্যাম্বুলেন্স সকাল পৌনে আটটার দিকে ‘ফেরি ফরিদপুর’ ১ নং ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।

ফেরিটিতে উঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভরে যায় ফেরিটি। ফেরিতে তিল ধারনের জায়গা ছিলনা। লোকজনের চাপে ফেরিটির ডালা উঠানোও যাচ্ছিলো না। এসময় পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে ফেরির ডালা উঠানোর কোনরকম ব্যবস্থা করে। কিন্তু গাদাগাদি অবস্থায় ছোট ফেরিটিতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। পরে ১০টার দিকে ফেরি শাহ পরান ঘাটে আসলে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে উঠে যায়। ৫ সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ছেড়ে যায়। এই ফেরিতেও তিল ধারনেরও জায়গা ছিল না। তবে এখনো হাজার হাজার যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় আছে। সবখানেই ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব শাহ পরান ফেরিতে উপেক্ষিত। সরকারি নিয়মের কোন বালাই নেই।

ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে। নৌপুলিশ এ পর্যন্ত ১২টি ট্রলার আটক করেছে। এদিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতাও ৮ টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিষেবা কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মতো উঠে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন নাড়ির টানে ছুটছেন, কোন বাধাই মানছেন না। বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে জরুরি পরিষেবায় ২-৩ টি ফেরি চলাচল করছে।

মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ঈদে ঘরমুখো না হওয়ার জন্যই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে, তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত