চব্বিশের মাষ্টার মাউন্ড ছিলেন তারেক রহমান; পঞ্চগড়ে আজাদ

  মোঃ কামরুল ইসলাম কাম,পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৬ |  আপডেট  : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৭

জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেছেন আমরা ফ্যাসিষ্টকে বিতারিত করেছি।  আজকে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।বিগত ২৪ ’র আন্দোলনের ছাত্র দলের ত্যাগকে কেউ স্বীকার করছেনা। এই আন্দোলনে রংপুরের রাজপথে আবু সাঈদ যখন রক্ত দিয়েছিল। ওই দিন চট্রগ্রামের কৃত্বি সন্তান  রাজিউল আকতার হোসেন জীবন দিয়েছিল।

তিনি বুধবার পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে ছাত্র দলের প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। আজাদ বলেন বিগত ২৪’র আন্দোলনে সামনে থেকে কজন ছাত্রনেতা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস বলছে ছাত্র দলের সম্পদ ছাত্রদলের নেতারা জীবন দিয়েছে।  

তিনি বলেন, ২০২৪ আন্দোলনে আমি নিজে একজন সমন্বয়ক ছিলাম। আমার প্রিয় নেতা তারেক হোসেনের নেতৃত্বে। তিনি সাবেক ছাত্র নেতাদের ভাগ করে দিয়ে বলেছিলেন এবারের আন্দোলন হচ্ছে বাচাঁও মরার আন্দোলন। এবারের আন্দোলন হচ্ছে বাংলাদেশের  মানচিত্র রক্ষার আন্দোলন। এবার আন্দোলনে যদি হেরে যাই তাহলে েের যাই বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবেনা।

আজাদ বলেন ১৫ জুলাইয়ের আন্দোলনের পর ১৯ জুলাই ওরা ডিবি হারুনে ওখানে গিয়ে আন্দোলনের পাঠ চুকিয়ে দিয়েছিল। আমরা সেদিন ভুলি নাই। সেদিনের পরে তারেক রহমান ডেকে বলেছিলেন তোমরা প্রত্যোকটি পাড়া-মহল্লায় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রদের ঐক্যের মেসেজ দাও। আজকে আন্দোলনে পিচু হটলে বাংলাদেশে থাকতে পারবোনা। দেশের গনত্রান্ত্রিক মানুষ বাংলাদেশে মানুষ বসবাস করতে পারবেনা।

আমরা দায়িত্ব পাওয়া তের জন মানুষ পরিবারের মানুষ পরিবারের কাছে বিদায় নিয়ে ঢাকার রাজপথে এক জায়গায় মিলিত হয়েছিলাম। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করে লন্ডন থেকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা পেয়ে প্রত্যেবক ছাত্রবন্ধুদের একত্র করে বলেছিলাম এবারের আন্দোলন বাচাঁও মরার আন্দোলন। তিনি ছিলেন মাষ্টার মাউন্ড।

তিনি বলেন বিএনপি’র মহাসচিব ছাত্রদের ডেকে বলেছিলেন আমাদের দল  তোমাদের সাথে আছে। তোমরা এগিয়ে যাও।এখন আপনারা তা স্বীকার করছেন। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ।এই বাংলাদেশের সৃষ্টির ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামন থেকে ওই  যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি কালুর ঘাট বেতার থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। তিনি তার পরিবারের কথা চিন্তা করেননি। বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক  আন্দোলনে ১৭ বছর ধরে আপোষহীনহীন নেত্রী খালেদা জিয়া  কোন রকম আপোষ না করেন নাই। খালেদা জিয়া বৃদ্ধ বয়সে ৭ বছর কারাবরণ করেছিলেন।এর আগে সকালে সরকারী অডিটোরিয়াম থেকে একটি ব্যানার ফেস্টুন সহ শোভাযাত্রা বের হয়। 

জেলা ছাত্র দলের সভাপতি তারেকুজ্জমান তারেকের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল  সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ছাত্র দলের সাধারন সম্পাদক রোকুনজ্জামান জাপান।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত