"গৌরবের প্রান্তর "- একটি অসাধারণ রচনা মহুয়া ভট্রাচার্য
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩৯ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০
অভীক ওসমানের গদ্য মানে সুধারসে জারিত মিঠে রোদ, যার উষ্ণ অভ্যর্থনা নতুন ও প্রতিষ্ঠিত লেখকের প্রাণ ছুঁয়ে যাবেই। হয়তো পড়ার পর তাঁকে ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যমেই এই কথাগুলো জানিয়ে দিতে পারতাম, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইটি নিয়ে এই কথাগুলো জানানোর উদ্দেশ্য হোলো অভীক ওসমানের শারীরিক অসুস্থতার গায়ে দূর থেকে একটুখানি আরোগ্যের মলম লাগানো! বলে রাখি, কিছুদিন যাবত তিনি অসুস্থ।
এম এ মালেক সাহেবের মত বিরাট মাপের মানুষের জীবনের খন্ডচিত্র তুলে ধরতে হিম্মত লাগে, দীর্ঘ যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা লাগে। চন্দনাইশের যে কালোমানিকটি এই অচেনা অজানা শহরের অনিকেত জীবনের হাতছানিতে বাঁধা পরে জীবনের প্রায় অর্ধশত বসন্ত পার করে দিলেন - তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিতেই তো সেই হিম্মত, ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাস রয়েছে।
আজাদীই প্রথম এবং একমাত্র পত্রিকা যেখানে সারা পৃথিবীর কাছে চট্টগ্রামকে ফোকাস করা হয়েছে বারবার। আবদুল মালেক সেই আজাদী পত্রিকার সম্পাদক। বইটিতে পত্রিকাটির সাথে সম্পৃক্ত পাওয়ার এন্ড পলিটিক্স, লিমিটেশনস্, মালেক সাহেবের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক পরিবেশ, দাম্পত্য জীবনের সমুজ্জ্বল কিছু টুকরো টুকরো চিত্র তুলে ধরেছেন যা বইটির পাতায় হীরককনার মত জ্বলজ্বলে। আমাদের উত্তর প্রজন্মের কাছে বইটি আকর গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়ে রইবে।
বইটির লেখক অভীক ওসমান, বইটির প্রাণপুরুষ আজাদী সম্পাদক আব্দুল মালেক। আবদুল মালেককে জানতে হলে বইটির পুরো ৭৮টি পৃষ্ঠা পড়া দরকার। আর অভীক ওসমানকে জানতে হলে মানতে হবে, অভীক ওসমান - The unpredictable!
"গৌরবের প্রান্তর" বইটি গুরুত্বপূর্ণ। আবদুল মালেক সাহেব এবং তাঁর মহীরুহ আজাদীকে জানতে, সেই সাথে লেখক অভীক ওসমানকে খুঁজে নিতে। বইটি পড়ে কথাগুলো লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে দুঃসাহস করে ফেললাম না তো! লেখক ও আবদুল মালেক সাহেব আমার ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন আশাকরি।
( বইটির প্রকাশক - কোহিনূর প্রকাশন । প্রচ্ছদ কৃতিত্ব - দীপক দত্ত। বইটির প্রোডাকশন হাউস - দি এড কমিউনিকেশন।)
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত