গাজায় অধিকাংশ ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যুর শঙ্কা
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৩ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬
ফিলিস্তিনের গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে বলেছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে তারা বলেছেন, হামাসের হাতে যেসব জিম্মি ছিল তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি থেকে প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের যোদ্ধারা। এরমধ্যে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের কাছে আরও ১২৯ জিম্মি রয়ে গেছে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগই আবার গাজাতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে ফের আলোচনা শুর করেছে হামাস ও ইসরায়েল। গত সপ্তাহে মিশরের রাজধানী কায়রোতে হওয়া এই আলোচনায় হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু করার জন্য অসুস্থ, বৃদ্ধ ও নারী সেনাসহ যে ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত ইসরায়েল দিয়েছে সেটি তারা পূরণ করতে পারবে না। কারণ তাদের কাছে এখন জীবিত ৪০ জিম্মির তালিকা নেই।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ইসরায়েল জানিয়েছে, ১২৯ জিম্মির মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ জিম্মির মৃত্যুর ব্যাপারে তারা কোনও কিছু জানায়নি।কিন্তু সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা গোপন বৈঠকে বলেছেন- তাদের ধারণা আরও বেশি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা, প্রায় সব জিম্মিই গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে জিম্মিদের মৃত্যুর ব্যাপারে ইসরায়েলি গোয়েন্দা তথ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরশীল বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাতেই জিম্মিদের মৃত্যু হয়েছে। আর কিছু কিছু জিম্মি স্বাস্থ্যগত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে তিন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এছাড়া গাজা থেকে ১২ জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলে নিয়ে গেছে তারা। যার মধ্যে তিনজনকে ভুলক্রমে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত