গত বছরের চেয়ে এ বছর নতুন আলুর দাম অনেক বেশি
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩
বগুড়ায় নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে নতুন আলুসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি উঠেছে। তবে সবকিছুর মূল্যই আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি ভালো মানের পাগরি আলু ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের রাজাবাজার, ফতেহআলী বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মূল্য বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে কৃষকরা আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজির আগাম চাষাবাদ করেন। তবে সবকিছুর মূল্য অনেকে বেশি। নতুন পাগরি জাতের আলু প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০, পাতা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০, শিম ৯০ থেকে ১০০, ফুলকপি প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, পটল ৪০ থেকে ৫০, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচা মরিচ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নবান্ন উপলক্ষে ক্রেতাদের কাছে নতুন আলুর চাহিদা বেশি। তাই তারা বাজারে আনা ছোট ও মাঝারি আকারের আলু বেশি কিনছেন। মূল্য বেশি প্রসঙ্গে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি তাই দাম একটু বেশি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে কারও নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ‘গলাকেটে’ নিচ্ছেন।
রাজাবাজারের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, মহাস্থান হাটে এক পাইকারের কাছ থেকে ২০ কেজি নতুন আলু কিনেছেন। কিনতে দাম বেশি হওয়ায় তার মতো সবাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
শহরের ফতেহআলী বাজারের খুচরা কাঁচামাল এক ব্যবসায়ী জানান, নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে নতুন আলু ও অন্যান্য শাকসবজি উঠেছে। আলু বড় সাইজের না হলেও উৎসবের কারণে কৃষকরা আলুর দাম বেশি পাচ্ছেন। আর তারা (ব্যবসায়ী) বেশি দামে কিনতে হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করছেন।
বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, প্রতি বছরই নবান্ন উৎসবের সময় বাজারে নতুন আলু আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয়; সবাই তরকারি রান্না ও ভর্তাছানা খাওয়ার জন্য নতুন আলু কিনে থাকেন। আর এ সময় আলুর দাম চড়া থাকে।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত