গণমুখী বাজেট দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিড়ি শ্রমিকদের অভিনন্দন

  প্রেস রিলিজ

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৫, ১৫:৩৭ |  আপডেট  : ৫ জুন ২০২৫, ১৩:৪২

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করাসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এই শিল্পের অবদান অপরিসীম। তবে বিভিন্ন সময়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রে বিড়ি শিল্পে বারবার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না। অসম শুল্কের ভারে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এদিকে বিড়ি ও সিগারেট একই গোত্রভ‚ক্ত হওয়া শর্তেও এ দুটির মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। বিড়ির অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ। আর সিগারেটের অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ ছিল। কিন্তু শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলে সিগারেটের অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার। তবুও বিড়ি ও সিগারেটের অগ্রীম আয়করে ব্যাপক বৈষম্য বিরাজ করছে। সুতরাং বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। একইসাথে নূন্যতম মজুরী বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। 

ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী বিএটি ও জেটিআই এ দেশের টোব্যাকো কোম্পানীর মার্কেট শোষণ করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বর্তমানে টোব্যাকো মার্কেটের ৮০ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে নিম্নস্তরের সিগারেট। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে নকল বিড়ি উৎপাদান এবং বিক্রি বন্ধ এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করাসহ খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করায় আমরা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো হলো, নূন্যতম মজুরী বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি এবং নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত