গণনাট্য থেকে রোম্যান্টিক সব সুরেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়'র অবাধ বিচরণ
প্রকাশ: ৩ মার্চ ২০২২, ১১:১৫ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০২
রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে বড় হওয়া। খেলার মাঠের শ্রমিকসভায় শুনেছিলেন সলিল চৌধুরীর গান। সেখান থেকেই মোড় ঘুরে গেল জীবনের। একের পর এক তৈরি করলেন কালজয়ী সব কম্পোজ়িশন। হেমন্ত, মান্না, মানবেন্দ্র, প্রতিমার মতো শিল্পীর কণ্ঠে সে সব গান আজও বাঙালির ফেলে আসা সময়ের মাইলফলক। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুজোর গান হবে। এক সুরকার তাঁর বন্ধু অমিয় দাশগুপ্তর লেখা একটি গান ‘হংসপাখা দিয়ে’ সুর করে গ্রামোফোন কোম্পানির তৎকালীন রেকর্ডিং-ম্যানেজার তথা গীতিকার পবিত্র মিত্রকে শোনাতে এলেন। পবিত্র চোখ বুজে অলস ভঙ্গিতে শুয়ে শুয়ে শুনলেন। তার পর উত্তেজিত হয়ে স্বভাবসিদ্ধ বাঙাল ভাষায় বললেন, “বুঝছি আপনি হেমন্তবাবুরে ভাইব্যা করছেন, কিন্তু আপনি এটা শ্যামলরে দেন, দেখেন কী হইব।” অগত্যা তাই, পবিত্র মিত্তিরের কথা তো ফেলা যায় না! শ্যামল মিত্রই গাইলেন, আর গানটি আধুনিক গানের ইতিহাসে চিরকালীন হয়ে গেল। শ্যামল মিত্রের এই অসামান্য গান আমরা মনে রেখেছি, কিন্তু এর সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে? যে ভাবে মনে রাখার, সে ভাবে রাখিনি, অথচ কত শিল্পীর কত আবেশ-জাগানো গানের সুরস্রষ্টা এই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্রাহ্ম পরিবারের সন্তান অভিজিৎ ছোটবেলা থেকেই গানের আবহে মানুষ। ব্রাহ্ম পরিবার সূত্রে রবীন্দ্রচেতনা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত ছিল তাঁর স্নায়ুতে-রক্তে মিশে, তাঁর সারা জীবনের প্রধান অবলম্বন। ছাত্রাবস্থায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি গাইতেন শচীন দেব বর্মণের ‘প্রেমের সমাধিতীরে’, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ‘কথা কয়োনাকো’।
পিঠোপিঠি দুই ভাই— বড় অরিন্দম আর অভিজিৎ সব কাজে এক সঙ্গে— ব্রাহ্মদের নগর সঙ্কীর্তনের নকলে বাড়িতে খেলার কীর্তন বা বাড়ির পাঁচিল টপকে খেলা বা গান শুনতে যাওয়া। এই দাদা ও দাদারই বন্ধু প্রবীর মজুমদার অভিজিতের সঙ্গীত-জীবনেরও পথপ্রদর্শক। ক্লাস এইটে এক বার গলা ভেঙে গেলে অভিজিৎ এক শখের নাচের দলে জ়াইলোফোন বাজাতে শুরু করেন। দু’বছর পর আবার গানে ফেরা প্রবীরেরই প্রেরণা ও তত্ত্বাবধানে। প্রবীরই তাঁকে নিয়ে যান গণনাট্য সঙ্ঘে।
ঢাকুরিয়া রেল স্টেশনের মাঠে অভিজিৎরা খেলাধুলো করতেন। মাঝেমধ্যে সেখানে সভা হত। এক বার রেল ধর্মঘট উপলক্ষে এক সভায় দেখলেন পাজামা-শার্ট পরা কৃষ্ণবর্ণ, ছিপছিপে এক মানুষ তাঁর বিস্কুট রঙের কোট খুলেই হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে শুরু করে দিলেন, ‘এক হো, এক হো, হিন্দু মুসলিম বাবু মজদুর এক হো’। বলিষ্ঠ ভঙ্গির উদ্দীপ্ত গানে অভিজিৎ বাক্যহারা। তখন কে জানত, এই মানুষটিই হয়ে উঠবেন অভিজিতের সঙ্গীত জীবনের অন্যতম ধ্রুবতারা! সে দিনের সেই মঞ্চগায়ক ছিলেন সলিল চৌধুরী। পরে গণনাট্য সঙ্ঘে পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা, তাঁর অভিভাবকত্বেই পথ চলা।
এক দিন দাদা অরিন্দম একটা গান লিখে এনে অভিজিৎকে দিয়ে জোর করে সুর করালেন। অভিজিৎ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ধরনে একটা সুর করলেন। তার পরই সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘ছিপখান তিনদাঁড়’ কবিতায় সুর করার জন্য দাদার আবার জোরাজুরি। সুর হল। অভিজিৎ নিজেই অবাক নিজের সুরে! তখন মেজর-মাইনর সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও সুরে মেজর-মাইনর পর্যায়ক্রমে এসেছে অজান্তেই। অনেকের ধারণা, সলিল চৌধুরীর ‘পাল্কী চলে’ বুঝি ‘ছিপখান তিনদাঁড়’-এর প্রেরণা। আসলে তা নয়। ‘পাল্কী চলে’-র দু’বছর আগে ‘ছিপখান’-এর সুর করেছেন অভিজিৎ। আসলে সলিলের ‘গাঁয়ের বধূ’, ‘রানার’ই অভিজিতের মর্মে ছিল। তবে কৌশলটা শিখেছিলেন পরে। এই গানটির রেকর্ড হওয়ার সব ক্ষেত্রে সলিলদা। এইচএমভি-র সঙ্গে কথা বলা, শিল্পী নির্বাচন, গান তোলানো। রেকর্ডিং-এ অরগ্যানও বাজিয়েছিলেন। আর কী সপ্রতিভ গেয়েছিলেন শ্যামল মিত্র! রেকর্ডিং-এ যন্ত্রীদের ভুলে ন’বার টেক করতে হয়েছিল, ন’বারই শ্যামল একই ভাবে গাইলেন, দক্ষতাটা এমনই। ‘হংসপাখা দিয়ে’-র সময় শ্যামল রিহার্সাল করতে করতেই অভিজিৎকে ‘আজ মোহনবাগানের খেলা আছে, দেখতে যাচ্ছি’ বলে চলে গিয়েছিলেন।
সূচনাপর্বে অভিজিতের সুরে উল্লেখযোগ্য অনল চট্টোপাধ্যায়ের কথায় হীরালাল সরখেলের ‘এই শাওন গগনে’ ও গণনাট্য সঙ্ঘের (সুচিত্রা মিত্র ও অন্যান্য) ‘কোথায় সোনার ধান’। এই সময় অভিজিৎ গণনাট্যে সক্রিয়। ক্রমশ রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্রোত্তর গানের সমকালীন বোধ নিয়েই এগিয়ে যাওয়া। কিছু দিন উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিখেছিলেন ঊষাপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের কাছে, আর ভি বালসারার কাছে পিয়ানো— যা তাঁর বোধকে সমৃদ্ধই করেছিল। আর সলিলদার সুরময় সঙ্গ তো ছিলই। সলিলদা মাঝে মাঝেই মিলিত হতেন তাঁর তিন শিষ্যের (প্রবীর, অভিজিৎ, অনল) সঙ্গে। এক বার একটা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সুর শুনিয়ে বললেন, ‘আমি একটা করছি, তোরাও কর’। সলিল করলেন, ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’। হেমন্ত গেয়েছিলেন। অভিজিৎ করলেন ‘ও পারুল পারুল’— গাইলেন গায়ত্রী বসু। আর অনল চট্টোপাধ্যায়ের কথায় প্রবীর মজুমদার করলেন ‘জীবনের বালুবেলায়’— শোনালেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়।
প্রথম দিকের আর যে গানটি অভিজিতের জায়গা শক্ত করল, তা প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তোমার দু’চোখে আমার স্বপ্ন’। বেসিক রেকর্ডে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম লেখা এই গানে শুদ্ধ গান্ধারকে মুখ্য করে সুর করেছিলেন অভিজিৎ। আর অমলিন কণ্ঠে তাকে প্রাণ দিলেন প্রতিমা। প্রতিমার ‘ওই আকাশে ক্লান্তি নেই’ গানে স্বরের অভিনব বিন্যাসে অভিজিতের অন্য রূপ।
এক বার পুজোয় হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অভিজিতের গান গাইবেন, সব ঠিক। হঠাৎ হেমন্ত জানালেন মুকুল দত্তের গান গাইতে হবে, তাই অভিজিতের গান করতে পারবেন না। অভিজিতের তো মাথায় হাত। হেমন্তই উপায় বাতলালেন। মুকুল দত্তের লেখায় নিজের সুর করা ‘আমিও পথের মতো’-র সঙ্গে রাখলেন অভিজিতের ‘অনেক অরণ্য’, তবে দু’টিরই সুরকার হিসেবে অভিজিতের নাম রইল যাতে অভিজিৎ বেশি রয়্যালটি পান। এই সৌজন্য এখন মিলবে কি? পুজোয় নয়, ‘বসন্ত বন্দনা’-য় বেরোল অভিজিতের কথায়-সুরে ‘সবাই চলে গেছে’, ‘এমন একটা ঝড় উঠুক’। অসামান্য জনপ্রিয়তা পেল। কয়েক দিন পর অভিজিৎ হেমন্তর কাছে গেলে হেমন্ত বললেন, ‘...তোমার গান খুব ভাল। দশ বছর।’ আরও কিছু দশক পেরিয়ে এ-গান এখনও বেঁচে আছে। অনেক আগে হেমন্তর আর একটি চমৎকার গান করেছিলেন ‘সোনালি চম্পা আর’।
অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ও তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অনেক পুজোর গান করেছেন অভিজিৎ। নিজের গানের বদলে একে অন্যের গান কেমন হল সেই খোঁজ নিতেন দুই বন্ধু। ‘হাজার মনের ভিড়ে’ গানের শুরুতেই সুরচিত ভোকাল রিফ্রেন গানের মেজাজ তৈরি করে দেয়, আর দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ও সমস্ত হৃদয় দিয়ে গাইলেন। এক অসমিয়া সুরে সলিল করেছিলেন ‘ও মোদের দেশবাসীরে’, পরেশ ধর সুর করলেন হেমন্তর ‘ঝিকিমিকি জল’, শ্যামল মিত্র সুর করলেন তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাজল নদীর জলে’, তাকেই অভিজিৎ চমৎকার কাজে লাগালেন দ্বিজেনের ‘কপালে সিঁদুর সিঁদুর টিপ পরেছ’ গানে। নাট্যব্যক্তিত্ব শ্যামল ঘোষের আধুনিক গান লেখার কথা অনেকেরই অজানা। তেমনই একটি, অভিজিতের সুরে দ্বিজেনের সুপরিচিত, ‘সাতনরী হার দেব’। আগে পাড়ায় পাড়ায় জলসা, বিজয়া সম্মিলনী খুবই আকর্ষণীয় ছিল আধুনিক গানের শিল্পীদের জন্যই। হেমন্ত, শ্যামল, দ্বিজেন, তরুণ, ধনঞ্জয়, মানবেন্দ্র, সতীনাথ, উৎপলা, প্রতিমা...। কোনও শিল্পী মঞ্চে উঠলেই চার পাশ থেকে প্রিয় গানের অনুরোধ। তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় উঠেছেন, সঙ্গে সঙ্গে ফরমায়েশ ‘দোল দোল চতুর্দোলায়’, ‘তোলপাড় তোলপাড়’। বিশেষত ‘তোলপাড় তোলপাড়’ তরুণ এমন মাথা ঝাকিয়ে সতেজ স্বরক্ষেপে জমিয়ে দিতেন তা যারা শুনেছেন তাঁরাই বুঝতে পারবেন। তরুণের এই দু’টি গানেরই সুরের কৃতিত্ব অভিজিতের, লেখা মিল্টু ঘোষের।
সুবীর সেনের অনেক জনপ্রিয় গান অভিজিতেরই সুরে। দু’জনেই বিদেশি গানের ভক্ত, এক সঙ্গে বসে শুনতেন, মতের আদানপ্রদান হত। তারই ফসল, জিম রিভসের ‘আই হিয়ার দ্য সাউন্ড অব ডিসট্যান্ট ড্রামস’ থেকে ‘সারাদিন তোমায় ভেবে’, ‘স্নো ফ্লেকস’ থেকে ‘এ যেন সেই চোখ’ বা ন্যাট কিং কোলের ‘মোনালিসা’ থেকে ‘মোনালিসা’। পাশ্চাত্য প্রভাবেই ‘সন্ধ্যালগনে স্বপ্নমগনে’ বা ‘নগরজীবন ছবির মতো’। পাশেই গজলের ঢঙে ‘নয় থাকলে আরও কিছুক্ষণ’। রোম্যান্টিক কণ্ঠে দুর্দান্ত পরিবেশন করেছিলেন সুবীর সেন।
আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের কথায় অভিজিতের সুরে ‘মেঘলা দিনে নীল আকাশের স্বপ্ন ছড়ায়’, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘তুমি মেঘলা দিনের’, উদাস করে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ‘যদি আমাকে দেখ’। কী মাধুর্যময় ইলা বসুর ‘কী যেন আজ’ বা গায়ত্রী বসুর ‘দূর বনপথে’। ‘দূর বনপথে’-র সঞ্চারীর সুরটি পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের— তখন এই রকম বিনিময় ছিল। সুপরিচিত অভিনেত্রী বাসবী নন্দীকে অন্য ভাবে চেনায় অভিজিতের সুর, ‘তোমার স্বপ্ন নিয়ে’। উৎপলা সেনের ‘এত মেঘ এত যে আলো’ সুখ্যাত , নজর এড়িয়ে যায় মিষ্টি সুরের ‘এই রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি’। নির্মলা মিশ্রের ‘কেন এই গান গাওয়া’ যেন এক স্বগত প্রশ্ন। বিশ্বনাথ দাসের লেখা ‘এখনো সারেঙ্গিটা বাজছে’ রাগাশ্রিত, রাগসর্বস্ব নয়। হৈমন্তী শুক্ল তাকে যথোচিত মর্যাদা দেন। অরুন্ধতী হোম চৌধুরীর ‘চন্দ্রদ্যুতি রাত্রি’ মধুর আবেশ ছড়ায়। অরুণ দত্তের ‘সূর্য রৌদ্রে’ সপ্রাণ। তা ছাড়া গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, শিবাজী চট্টোপাধ্যায়, সৈকত মিত্র, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্যর মতো শিল্পীরাও।
বেসিক গানের তুলনায় বাংলা ছবিতে অভিজিতের কাজ কম, কিন্তু স্মরণীয়। প্রথম ছবি, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’-য় হেমন্তর ‘ও আকাশ’ প্রাণময়, শ্যামলের ‘রসের ঘটা’ সরস। ‘জীবন রহস্য’ ছবির গান রেকর্ডিং চলছে বম্বে ল্যাবরেটরিতে, মান্না দে ‘পৃথিবী তাকিয়ে দেখ’-এর সঞ্চারীতে ‘সামনে এলাম, সামনে এসো’ বলার সময় খাদের পর্দাটা ঠিক লাগছে না, হঠাৎ মান্না মাইকেই বলে উঠলেন, ‘আরে, এই গান তো অভিজিৎবাবু হেমন্তবাবুকে ভেবে করেছেন, এ কি আমার দ্বারা হয়?’ হয় কি না হয় সে তো শ্রোতারা জানেন। গানটি সত্যিই হেমন্তর গাওয়ার কথা, বিদেশ চলে যাওয়ায় হয়নি। এই ছবিতে আশা ভোঁসলের ‘ও পাখি’, ‘যদি কানে কানে’, ‘সেলাম মেমসাহেব’-এ মান্নার ‘ঝর্ণা ঝরঝরিয়ে’, ‘হারায়ে খুঁজি’-তে আরতি মুখোপাধ্যায়ের ‘টুংটাং পিয়ানোয়’ বা ‘ঝননন তননন’ অভিজিতের সুরবৈচিত্রেরই পরিচায়ক। তাঁর যন্ত্রায়োজনও উল্লেখ্য।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র-কন্যারা সুরের জগতেই আছেন, বিশেষত অমিত। গান নিয়ে তাঁর ভাবনাচিন্তা ধরা আছে ‘বাংলা গানের পথ চলা’, ‘জীবনবীণার রাগরাগিণী’ প্রভৃতি গ্রন্থে।
এই আদ্যন্ত সুরের মানুষটি বার্ধক্যজনিত অসুখে চলে গেলেন সম্প্রতি। প্রায় আমৃত্যু সক্রিয় ছিলেন, আর আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন। মানুষের চলে যাওয়া অনিবার্য, কিন্তু আশ্চর্য, যিনি সারা জীবন বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করে এসেছেন, তাঁর মৃত্যুর পর অধিকাংশ বৈদ্যুতিন মাধ্যম প্রায় নীরব। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দু’-এক জন ছাড়া শিল্পীদের অনুপস্থিতিও অবাক করেছে। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এক জন সুরকারের আরও একটু স্মরণ ও শ্রদ্ধা অবশ্যই প্রাপ্য ছিল। সৌজন্য-আনন্দবাজার
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত