খাগড়াছড়িতে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২২, ১০:১২ |  আপডেট  : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩০

খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসার ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক হাফেজ মো. নোমান মিয়া ওরফে রোমানকে (২২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত ভুক্তভোগী পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।


গত বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুছাং আবু তাহের এই রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত নোমান দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি উপজেলার ছোট মেরুং এলাকার মো. আলী মিয়ার ছেলে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ছোট মেরুং এলাকার ওই মাদ্রাসায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নোমান মিয়া একই মাদ্রাসার ছাত্রকে (১০) বলাৎকার করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একই বছরের ২৩ আগস্ট দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করেন, তাঁর ১০ বছরের ছেলেকে ওই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। রমজান মাসে রাতের বেলা হাফেজ আল নোমানের শয়নকক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রকে দিয়ে হাত, পা এবং শরীর মেসেজ (টিপাইত) করাত। একপর্যায়ে মাদ্রাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তাঁর ছেলেকে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। সে থেকে শিক্ষক নোমান বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর ছেলেকে মারধর করতেন। 

এরপর ঘটনাটি সে তার নানিকে জানায়। পরে তাঁর নানি মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামকে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। সে থেকে শিক্ষক নোমান নানা অজুহাতে তার ছেলের ওপর শারীরিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

মামলা দায়ের পর ২০১৮ সালের ২২ মে চার্জ গঠন করা হয়। মামলা চলাকালীন মোট ১২ জন সাক্ষ্য প্রদান, যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় প্রদান করেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এমন রায় সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত