ক্ষতের কারু

  সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২১, ২০:২০ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:১৫

দীপক দাস
-----------------

বাইরেটা খুব গুমোট ধরা
থমকে গেছে আকাশ
মনকেমনের এমন ক্ষণে দেখবি যদি তাকাস
কালো কালো অভিমানে
গাল ফোলানো মেঘ
ব্যাকুল হয়ে বোঝাতে চায়
অব্যক্ত আবেগ।
কোথাও তেমন কথা নেই
বার্তা আছে তবে
অপেক্ষাতে জমাটবাঁধার
মুক্তবৃষ্টি হবে
একটু যদি খেয়াল করিস
মাটির উপর আমি
লাফ দিয়ে ওই আকাশ থেকে
বুক চিতিয়ে নামি
তুই কি তখন মাটি হোস?
কিংবা গাছের পাতা?
আমার জন্য প্রহর গুনিস
আমিই কি তোর ত্রাতা!
ইচ্ছে করে মনের মতো(ভাবতে থাকি) 
কথা যতো আছে
জানিস তো মেঘ ডাকলে ময়ূর পেখম মেলে নাচে
ইস! হতাম যদি.... 
এমন করে 
মেঘ আসবে
হাঁস ভাসবে 
জলে......
জানিস তো তোর জন্য এ মন 
কত কিছু বলে
যতটুকু বলি আমি 
তারচে বেশি গোপন
মিশে থাকি মনি হয়ে 
চোখের ভেতর আপন
আচ্ছা তোর আপন নামটা কেমন লাগে?
শিরার ভেতর একটা কিছু রক্তে জাগে!
উফ!! আমার হ প্লিজ
জানিস,নদীর যখন দুঃখ ওঠে কেমন করে শব্দ করে
সুখের সময় কোন কলোকল ছন্দ ধরে?
আমি না সব বুঝতে পারি আমার সাথে সখ্য তাদের
আমি তাদের মিতা যে হই
যখন তখন তোর নামেতে
দশবাহানার কথা যে কই!
আমি না খুব পাগল পাগল
ভেতরটা খুব উদাস করা
ঢাকতে গিয়ে কত যে কি
বলে ফেলি করে বেরাই
ক্ষতের দাগে কারুভরা
তুই তো জানিস 
শূন্যতাটুক তোর বাকিটুক
কত কিযে চেষ্টা করি লোকে আমায় পাগল বলে তোর নামেতে এমন করি এই ভাবি যা সুখ
বাকিটুকু আশায় থাকি তোলা রইলো বুক।
এইযে যেমন মেঘ হয়ে তোর দৃষ্টি কাড়ি
আদৌ কি আর পেরে ওঠি!
তবুও সাজি বৃষ্টিপরি
শোন না কথা 
মেঘ হবো না
হাঁস হবো না
জল হবো না
বৃষ্টি হয়ে ঝুমুর ঝামুর ওই কিশোরীর মল হবো না
তখন ভালো বাসবে আমায়?
আমি না খুব লক্ষী হবো
আমি না খুব পুতুল হবো
আমি তবু পাথর হবো
তখন ভালো বাসবে তো খুব?
হাসবে তো খুব?

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত