ক্যারিবীয়দের তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৩৮ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাজেভাবে সিরিজ হারার পর ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচেও টাইগাররা তুলে নিলো জয়। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ করার লজ্জা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার পর ২০২১ সালে চট্টগ্রামের দ্বিতীয়বারের মতো একই ঘটনা ঘটার টাইগার ক্রিকেটাররা। এবার আবারও স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
শনিবার (১৭ জুলাই) সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৮ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ৪৮.৪ ওভারে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের গুটিয়ে দেওয়ার পথে বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। স্বল্প রানের লক্ষ্য নিয়েও টাইগারদের খেলতে হয়েছে প্রায় শেষ পর্যন্ত। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন লিঠন কুমার দাস।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপটের জয় তুলে নিলেও শেষ ও তৃতীয় ম্যাচে ভুগতে হয়েছে ব্যাটারদের। যদিও প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশেল সজহ জয় এসেছে বোলারদের কল্যাণেই। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে জয় তুলে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল টাইগাররা।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ২০ রান। ১৩ বল মোকাবেলা করে ব্যক্তিগত ১ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত সাজঘরে ফিরলে তামিম ইকবারের সাথে জুটি ভাঙে। এরপর তামিম-লিটন দাসের জুটিতে আসে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
৫২ বলে ৩৪ রান করা অধিনায়ক তামিম ফিরলে ৫০ রানের জুটি ভাঙে। এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তোলোর পর ফিরেন লিটন। তার ৫০ রানের ইনিংসে ৫টি চারের মারের সাথে একটি ছক্কার মার ছিল। লিটন ফেরার পর উইকেটে আসা আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিরেন খালি হাতে। ফলে দলীয় ৯৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পর পর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের ব্যাট হাতে মন্থর গতিতে খেলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকে ৬১ বল মোকাবেল করে এ রান করেন তিনি। তার এ ইনিংসে মাত্র একটি চারের মার ছিল।
এছাড়া প্রথমে দেখে-শুনে খেলতে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন হঠাৎ চড়াও হওয়া এক চারের মাথে একটি ছক্কা হাঁকান। তবে তিনি বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। ২৫ বলের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহ চলে যাওয়ার পর বাকি কাজটুুকু সাড়েন নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
দু'জনের অপরাজিত থেকে ৯ বল বাকি থাকতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ব্যাট হাতে সোহান ৩২ এবং মিরাজ ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এ জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় এবং হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। সিরিজে শেষ ম্যাচে বল হাতে ৫ উইকেটে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাতে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত