কোকা-কোলা বাংলাদেশে নিয়ে এলো ১০০% রিসাইক্লেবল পিইটি বোতল
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৪১ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর ২০২২: কোকা-কোলা বাংলাদেশ, ১০০% রিসাইকেল্ড পিইটি প্লাস্টিক [rPET) দিয়ে তৈরি বোতল [ক্যাপ ও লেবেল ব্যতীত) বাজারে নিয়ে এসেছে। সার্কুলার অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। যখন পিইটি প্লাস্টিকের বোতলগুলোকে রিসাইকেল করা হয়, এবং পুরানো বোতলগুলোক নতুন বোতলে পরিণত করার জন্য এই রিসাইকেল্ড উপাদান ব্যবহার করা হয়, তখন পিইটি বোতলগুলোকে অন্যান্য প্যাকেজিংয়ের অপেক্ষায় তুলনামূলক কম কার্বন ফুটপ্রিন্ট থাকে।
বর্তমানে কোকা-কোলা-এর কিন্লে পানির ২লিটার বোতলে নতুন এই rPET প্যাকেজিং ব্যবহার হচ্ছে, যা পরবর্তীতে কোকা-কোলার অন্যান্য পণ্যের প্যাকেজিংয়েও ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ৷
প্রতিটি বোতলের এক্সক্লুসিভ লেবেলে একটি সচেতনতামূলক জোরালো বার্তা, "১০০% রিসাইকেল্ড প্লাস্টিক থেকে তৈরি" সহ বাজারজাত করা হয়েছে ৷ বাংলাদেশে কোকা-কোলা সিস্টেমের সার্কুলার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সাহায্য করার জন্য নতুন এই প্যাকেজিং একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। rPET প্যাকেজিংয়ের নিরাপত্তা, ফুড-গ্রেডের rPET প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে কোকা-কোলা কোম্পানির কঠোর বৈশ্বিক মানদণ্ডের পাশাপাশি দেশের স্থানীয় মানদণ্ডও সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে।গ্রাহকরা সকল পাইকারি দোকানে কোকা-কোলার পণ্যগুলির একই সতেজ স্বাদ পাবেন নতুন এই টেকসই প্যাকেজিংয়েও ।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে রিসাইকেল্ড পিইটি বোতলগুলিতে কোকা-কোলা পানীয়ের বাজারজাতকরণ বাংলাদেশে একটি সার্কুলার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার সমর্থনে বড় উদ্যোগ। এটি অর্জনের জন্য, চাহিদা মেটাতে আমাদের কাছে ফুড-গ্রেডের রিসাইকেল্ড প্লাস্টিকের যথেষ্ট সরবরাহ থাকা অত্যন্ত জরুরী।" তিনি আরও যোগ করেছেন, “এ কারণেই আমাদের বটলিং পার্টনারদের সাথে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে কোকা-কোলা সিস্টেম পিইটি প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ ও রিসাইকেলে বিনিয়োগ করছে। আমরা বাজারে যে সমস্ত প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে আসি তার সমতুল্য সংগ্রহ ও রিসাইকেল করতে সাহায্য করাই আমাদের মূল লক্ষ্য”
কোকা-কোলা কোম্পানি বিশ্বজুড়ে ‘বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী’ গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে ২০৩০ সালের ভিতরে বিক্রিত প্রতিটি বোতল এবং ক্যানের সমতুল্য সংগ্রহ এবং রিসাইকেল করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এটি কেবল বোতল সংগ্রহ এবং রিসাইকেল করা নয়, প্রতিটি বোতলে ভার্জিন উপাদান ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে আনাও এর লক্ষ্য। যেমন, কোম্পানিটির ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিংয়ে কমপক্ষে ৫০% রিসাইকেল্ড উপাদান ব্যবহার করার লক্ষ্য রয়েছে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের অন্যতম বটলার, আবদুল মোনেম লিমিটেডের এএমডি এ.এস.এম মহিউদ্দিন মোনেম বলেন, “পিইটি প্লাস্টিক বোতল একাধিকবার ব্যাবহার করা সম্ভব। ফুড-গ্রেড rPET দিয়ে তৈরি আমাদের নতুন বোতলগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং এই রিসাইকেল্ড উপদান দিয়ে আরো বোতল উৎপাদন করা যায়। রিসাইকেল্ড পিইটির ব্যবহার সঠিক দিকের একটি বড় পদক্ষেপ এবং এটি পরিবেশ বিভাগ বাংলাদেশের বহু-ক্ষেত্রিক জাতীয় টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার কর্ম পরিকল্পনার পদক্ষেপগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। আব্দুল মোনেম লিমিটেড, বাংলাদেশে কোকা-কোলা সিস্টেমের অংশ হিসেবে প্রথম এই পদক্ষেপ নিতে পেরে গর্বিত।
বাংলাদেশে রিসাইক্লিং নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এবং এরকম আরো পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে, কোকা-কোলা যথাক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এস আর এশিয়া এবং কর্ডএইড বাংলাদেশের সাথে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন পার্টনারশিপ করেছে। অতীতে, কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন বন্ধন প্রকল্পের জন্য ব্র্যাকের সাথে পার্টনারশিপ করেছিল, যা বর্জ্য শ্রমিকদের জীবনকে উন্নত করার লক্ষে কাজ করেছে।
কোকা-কোলা কোম্পানি এখন সারা বিশ্বের ৩০টিরও বেশি বাজারে ১০০% rPET বোতল অফার করে।
কোকা-কোলা
বিগত পাঁচ দশক ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও থামস-আপ কারেন্ট। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) স্বাধীন/স্বতন্ত্র, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড [এএমএল) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০ ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। “ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষ লোকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত