তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন হলে ১৫ আগস্ট শহীদদের প্রতি সম্মান পূর্ণতা পাবে
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৪৮ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন তখনই আরো পূর্ণতা পাবে, যখন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ ১৫ আগস্টের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আজ বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় এই নিষ্পাপ শিশু যে রাজনীতি বুঝতো না, রাজনীতি করতো না, রাজনীতির আশপাশেও ছিলো না তাকে ও হত্যা করা হয়েছিলো।’
শেখ রাসেল দিবসে তার মর্মস্পর্শী ইতিহাস স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক যেটি এখন সিনেমা হলে চলছে সেটি যারা দেখেছেন বা দেখবেন, তারা দেখতে পাবেন, সেই হত্যাযজ্ঞের সময় বাড়ির সিঁড়ির তলায় আশ্রয় নেওয়া শেখ রাসেলকে যখন টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছিল তখন শেখ রাসেল বলেছিল, আমি মায়ের কাছে যাবো। খুনীরা শেখ রাসেলকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। অর্থাৎ সে দিন খুনীরা যে কী নৃশংস, নির্মম, বর্বর ছিল সেটিরই প্রমাণ এই হত্যাকান্ড।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেনকে যখন হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলের মতো শিশুকে হত্যা করা হয়েছিলো, নারী ও শিশুদের রেহাই দেওয়া হয়নি। চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১০-১১ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিলো। খুনিরা সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত করেছিলো।’
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৫ আগস্টে সংঘঠিত এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যে খুনের মাধ্যমে তাদের উত্থান সেই খুনের রাজনীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। দেশটাকে তারা এখন বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত