কাউনিয়া অসময়ে ভাঙ্গন আতঙ্কে গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মানুষেরা

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১৯:২৫ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৪

অসময়ে কাউনিয়ায় তিস্তা নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তার তীরবর্তী গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামেরবাসিন্দাদের। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গনে কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের বেশকিছু বসতভিটা ও ১০০ হেক্টর ফসলি জমি আর গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে অনেকে রাস্তার ধারে অথবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। নদীতে তেমন পানি নেই অথচ অসময়ে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। কান্নাজরিত কন্ঠে এলাকাবাসীর দাবি ত্রাণ নয় নদী ভাঙ্গন থেকে তাদের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ি ভিটা রক্ষা করার। এ জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোন ফল পাচ্ছে না। জানা গেছে উপজেলার গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, চর ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চর হয়বৎখাঁ, চরগনাই, তালুকশাহাবজ, নিজপাড়াসহ নদী তীরবর্তী গ্রামের হাজার হাজার পরিবার ভাঙ্গন হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তার কড়াল গ্রাসে পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ভাঙ্গন আতঙ্কে আছেন আজিজুল, হাফেজ, শুরুজ আলি, তারা মিয়া, বাবুল, শহিদুল, রাজ্জাক, ফুল মিয়া, আলেফ, শাহিন, মোস্তাক, আমজাদ, ওসমান, রফিকুলসহ আরো অনেকেই। ভাঙ্গনের খবর পেয়ে গত বুধবার পরিদর্শনে আসেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর মোঃ আহসান হাবীব, ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রংপুর মোঃ আখিনুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বালাপাড়া ইউপি সদস্য মোঃ শাহ আলম, মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ গ্রামের শতশত মানুষ। পরিদর্শন শেষে মোঃ আহসান হাবীব বলেন, ১৯০ মিটার পাড় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান সে যায়গা ভাল আছে। বাকি জায়গায় জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জিও ব্যাগ বরাদ্ধ এনে ভাঙ্গনের গতিপথ কমানোর চেষ্টা করবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভাঙ্গন রোধের জন্য যা যা করণীয় দরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত