কাউনিয়ায় শখ থেকে সৌখিন কবুতর চাষে সফল আতাউর
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৭:২৯ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১২
শান্তির প্রতীক কবুতর গৃহপালিত পাখি। একে আমাদের দেশে শান্তির প্রতীক হিসেবেও গন্য করা হয়। প্রায় সব মানুষই কবুতর ভালোবাসেন। কেউ শখের বশে, কেউবা মাংসের চাহিদা পূরণে কবুতর লালন-পালন করেন। এর মাংস বেশ সুস্বাদু। তাই এর প্রতি আগ্রহও রয়েছে অনেকের। তেমনি একজন শখের বসে কবুতর পালন শুরু করেন কাউনিয়ার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাব্দি গ্রামে আরিফা ফুড প্রোডাক্টাস এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতাউর রহামান। তিনি এখন একজন সফল কবুতর পালনকারি খামারী।
সরেজমিনে সাব্দি গ্রামে আরিফা ফুড ফ্যাকটরীতে গিয়ে আরিফা ফুড প্রোডাক্টাসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতাউর রহামান এর সাথে কথা বলে জানাগেছে তিনি শখ থেকে ৪ জোড়া দেশী ও কাগজি জাতের কবুতর দিয়ে প্রথমে শুরু করেন। তারপরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আতাউর কে। বর্তমানে তার ১৩ফিট বাই ৭ফিট খামারে ১৫০ জোড়া কবুতর ছাড়িয়ে গেছে। দুই বছর আগে শুরু করা শখে কবুতর পালন পরিণত হয়েছে এখন পেশায়। তার খামারে কাজ করে দুই যুবক। বেকারত্ব ঘোচাতে সহায়তা করেছেন অন্য বেকার যুবকদেরও। খামারী আতউর আরও জানান, একসময় শুধু শখের বসে পালন করা গেলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে এই কবুতর পালন করা সম্ভব। বেকার যুবকরা কবুতর পালন করে স্বর্নিভর হতে পারে। কবুতর পালন বেশ লাভজনক। সরকারি সহযোগিতা পেলে বেকার যুবকদের মাধ্যামে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে কবুতর রফতানি করে বছরে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। তুলনামূলকভাবে কম পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। স্বল্প পরিসরে ছোট জায়গায় কবুতরের ঘর নির্মাণ করতে পারলে সফলতার মুখ দেখা যায়। কবুতর পালনের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কবুতরের খাওয়ানোর খরচ খুব কম। বাড়ির ফেলে দেওয়া খাবারই তারা খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকে। তাছাড়া বড় সুবিধা হচ্ছে, এরা নিজেরাই খাদ্য সংগ্রহ করে খায়। কবুতরের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে কবুতরের বাচ্চার ভালো চাহিদা রয়েছে। এর বর্জ্য ফসল চাষের জন্য উত্তম সার হিসেবে গণ্য। তাছাড়া এর পালক দ্বারা বিভিন্ন ধরনের খেলনা তৈরি করা যায়। ছোট পালক গয়না তৈরির কাজে লাগে।
এদিক থেকে পালক বিক্রি করেও ভালো আয় করা সম্ভব। এছাড়া বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে কবুতর পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুমি আক্তার জানান, আতাউরের খামারে যাওয়া হয়নি, তবে কবুতর পালন করে বেকার যুবক-যুবতিরা সাবলম্বি হতে পারে। খামারীরা চাইলে আমরা সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত