কাউনিয়ায় রসুনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৪ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:১২

কাউনিয়ায় উপজেলায় তিস্তা নদীর চরসহ নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে মশলা জাতীয় ফসল রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। রসুনের সাদা আবরনে দানা দেখে কৃষকের প্রান জুরিয়ে যায়। চলতি মৌসুমে রসুনের বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। 

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদীর চর ও পাড় ঘেষা গ্রাম গুলো ঘুরে দেখা গেছে চলতি মৌসুমে মশলা জাতীয় ফসল রসুনের বেশ চাষ হয়েছে। কম শ্রম আর স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদিত পরিবেশ বান্ধব ফসল রসুন চাষে কৃষকরা ঝুকেছে। হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ বানিয়াটারী গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, আবুল খায়ের ও কিষানী আরফিনা জানান রসুন চাষে তেমন সার লাগেনা। গবর বা জৈব সার দিলে ভাল হয়। এ ফসলে রোগ বালাই কম থাকায় কীটনাশক প্রয়োগ তেমন দরকার হয় না। তবে সিপা পচা রোগ থেকে সাবধান খাকতে হয়। এছারা ভাল মানের বীজ সংকট রয়েছে। পরিবেশ বান্ধব রসুন চাষ কৃষকের মন জয় করেছে। ভাল দাম পাওয়ায় উপজেলার নারী কৃষকরাও রসুন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। 

জাহাঙ্গীর জানান ৬২ শতক জমিতে রসুন চাষ করে তার বীজ,সার, হাল, লেবার বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো। এখন বিক্রয় করলে সে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রয় করতে পারবে। কিন্তু সে এখন বিক্রয় করবে না। ভাল করে শুকিয়ে পরবর্তিতে বিক্রয় করলে সে তিন গুন বেশী দামে বিক্রয় করতে পারবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস করে মসলা জাতীয় ফসল চাষে কৃষকের উৎসাহ দিয়ে আগ্রহ বাড়াতে চেষ্টা করছে। রসুন চাষে পানি দিতে হয় সর্বচ্চ ৩ থেকে ৪ বার অথচ ধানে পানি দিতে হয় ২০ থেকে ২৫ বার। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ  সাইফুল আলম জানান চলতি মৌসুমে রসুন চাষের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছিল ৭০ হেক্টর কিন্ত চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টর। মশলা জাতীয় ফসল যেমন রসুন, পিয়াজ, মরিচ, আদা চাষ করলে ধানের চেয়ে বেশী ফলন হয় এবং কৃষক দামও পায় ভাল। কাউনিয়ায় এ মৌষুমে রসুনের বাম্পার ফলেছে। কৃষকরা ধীরে ধীরে মশলা জাতীয় ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত