৫০০ বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে

কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি ভাঙ্গন আতঙ্কে এলাকাবাসী

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২৭ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:২৩

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। গতবছর থেকে নদী ভাংছে। কিন্তু ভাঙ্গনরোধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে কাউনিয়া তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে তিস্তার পানির বিপৎসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ডুবে গেছে বিভিন্ন ফসলি জমি। নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। ইতোমধ্যে ভাঙ্গনকবলিত পরিবারের অনেকে বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা টেপামধুপুর ইউনিয়নের চরগনাই, বিশ^নাথ গ্রামের কয়েকশ বসতভিটা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। গদাই গ্রামের হাফেজ আলী বলেন, গতবছর থেকে নদী ভাঙছে। কিন্তু ভাঙ্গনরোধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি বছর প্রায় ৫০০ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটাও নদীর একেবারে কিনারায়। কখন যে ভেঙ্গে যায় সেই আশঙ্কায় আছি। নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঘরে ঘরে ভাঙনের আতঙ্ক বলে জানান তিস্তার ভাঙ্গনের শিকার হওয়া মোজাম্মেল। গদাই গ্রামের নজরুল ভান্ডারি জানান, এর আগে কয়েক দফায় নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবার ভাঙলে তার আর বসতভিটার কিছুই থাকবে না। বাধ্য হয়ে বাঁধের উপর অথবা অন্য কোথাও স্থান নিতে হবে। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়ার আশঙ্কায় আছেন এলাকাবাসী। তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কাউনিয়ার সভাপতি সামছুল আলম বলেন, অসময়ে তিস্তার ভাঙনে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে চলে যায়। তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান নেই। কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক বলেন, তিস্তা নদীর বৃদ্ধি ও ভাঙ্গনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত