কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১৫সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত

  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ২০:৫৫ |  আপডেট  : ২৬ জুন ২০২৪, ১২:০৮

বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টি মিটার উপর  দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর পানি কমতে থাকলে নদীর ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। 

সরেজমিনে তিস্তা নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ইতোমধ্যে গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে প্রায় একশত হেক্টর ফসলী জমি তিস্তা নদী গিলে খেয়েছে এবং বর্তমানে অর্ধশতাধিক পরিবার বাড়ি ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। এলাকার মানুষের তথ্য মতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুষমারা, গদাই, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাননাথ, শনশাটারী, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, চর আজমখাঁর গ্রামের নিম্ন এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। এছাড়াও আমন ধানের বীজ তলা, উঠতি বাদাম খেত পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় অর্ধ শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। পানি বৃদ্ধি পেলে আরো নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে ফলে উপজেলার বেশ কয়েকটি তিস্তার চর এলাকায়  পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বর্তমানে কয়েকটি গ্রামের আমন ধানের  বীজ তলা ও প্রায় ৫শত একর জমির উঠতি বাদাম খেত পানিতে ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে টানা ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ী ঢলের পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। একারণে  তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢুষমারার চরের চাষী নজরুল ইসলাম বলেন  বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢুসমারা চরে প্রায় ২০০পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে ও আমন ধান বীজ তলা, বাদাম খেত ও বিভিন্ন সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।  বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন তার এলাকায় ৫টি গ্রামের নি¤œাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার বলেন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পানি প্রবেশ করছে। বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসন ও আমরা ত্রান বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১৫সেন্টি মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কাল থেকে পানি কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশা করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সে ব্যাপারে সরকারীভাবে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত