কাউনিয়ায় চলতি মৌসুমে সুপারি চাষীরা দাম পেয়ে বেজায় খুশী
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ১৯:২৩ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১০
প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়ায় সুপারির ফলন কম হলেও চড়া দাম পাওয়ায় কাউনিয়া উপজেলার সুপারি বাগান চাষীরা বেজায় খুশী। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে চলতি মৌসুমে বেশী দাম পাওয়ায় চাষীরা সুপারী বাগান গড়তে ঝুঁকে পড়ছে। আর এ অঞ্চলে ব্যাপক সুপারী বাগান গড়ে উঠলে পালটে যাবে কাউনিয়া উপজেলার কৃষি অর্থনীতি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ স‚ত্রে জানাগেছে, এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বাড়ীর উঠানে, আনাচে-কানাচে,জমির আইলে সুপারীর বাগান রয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে। এ জমি থেকে প্রতি বছর সুপারি উৎপাদন হয় ৮হাজার মেট্রিক টন। সংখ্যায় যার পরিমান ১২ কোটি পোন সুপারী। এ বছর এক পোন (৮০ টি) সুপারি ছোট আকারের ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা আর বড় আকারের টা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে ছোট আকারের এক পোন সুপারি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বড়টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েক বছরের মধ্যে এবারেই চাষীরা সব থেকে বেশি সুপারীর দাম পাচ্ছে। সাহবাজ গ্রামের সুপারী বাগান মালিক মিনহাজুর রহমান মুকুল বলেন প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়া, খরা,অতি শীতের কারণে সুপারী গাছের ফল ঝরে পড়েছে। তাই গাছে তেমন সুপারী ধরে নাই। এ কারণে ফলন কম হওয়ায় সুপারীর দাম অনেক টা বেড়ে গেছে। এছাড়াও অনেকের বাগানের সুপারীর গাছের বয়স হয়েছে আবার ঝড়ে অনেক চাষীর গাছ ভেঙে পরে বাগান ছোট হয়ে আসার কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সুপারীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বকুলতলা বাজারের সুপারী ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন জানায় করোনা কালীন সময়ে সীমান্ত বন্ধ থাকায় ভারত থেকে সুপারী আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে সুপারির দাম দ্বিগুণ তিন গুণ বেড়ে গেছে। প্রতিটি বাড়ীর উঠানে, আনাচে-কানাচে, ক্ষেতের আইলের ধারে ব্যাপক ভাবে সুপারী বাগান গড়ে তুলতে পারলে বদলে দিতে পারে কাউনিয়ার সুপারী কৃষি অর্থনীতি। সুপারি গাছ লাগতে তেমন জমির প্রয়োজন হয়না, গাছের চারা সহজ লভ্য, দামেও কম। ক্ষেতের আইলে লাগানো হলেও জমিতে ছায়া পরে না। তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না, প্রকৃতির আর্শিবাদেই সুপারীর ফলন হয়। তাই একবার রোপণ করতে পারলেই যুগ যুগ ধরে ফলন পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ পারভীন জানান উপজেলায় সুপারী চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে চাষিরা ভাল দাম পেয়েছে। এ এলাকায় সুপারীর বাগান করে চাষীরা ব্যাপক ভাবে লাভবান হতে পারে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত