কলকাতার নিউমার্কেট - চিন্তিত অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৪ |  আপডেট  : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৭

আসন্ন রমজান মাসের আগে টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউমার্কেট এবং এর আশপাশের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশি ক্রেতা তথা পর্যটকরা খুব বেশি সংখ্যায় সেখানে যাচ্ছেন না। এতে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কলকাতার ব্যবসায়ীদের অনেকে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কলকাতার নিউমার্কেট এবং এর আশপাশের কিছু ব্যবসায়ী ইতোমধ্যেই তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এখনও যারা ব্যবসা সচল রেখেছেন তাদের অনেকেই আর নিশ্চিত নন ঠিক কতক্ষণ তারা এটি চালিয়ে যেতে পারবেন।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। হাসিনার পলায়নের পর বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন এখনও আগের মতো পর্যটক ভিসা দেওয়া শুরু করেনি। বাংলাদেশিদের মাত্র অল্প কিছু সংখ্যক মেডিকেল ভিসা দেওয়া হচ্ছে। ট্যুরিস্ট ভিসায় এই নিষেধাজ্ঞা সীমান্তের ওপারে তথা পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসায় ক্ষতির কারণ হয়েছে।

শুধু কাপড় ব্যবসায়ীরাই না ,ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হোটেল মালিকরাও। পর্যটক না থাকায় মাসের পর মাস খালি পরে আছে অর্ধেকরও বেশি হোটেল রুম । দৈনিক ভাড়া নেমে এসেছে অর্ধেকে । বিদ্যুৎ বিল, ট্যাক্স এবং কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে মালিক পক্ষ।

মারকুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কিড স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড এবং নিউমার্কেটের আশপাশের এলাকাগুলো আগে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকতো। যেসব দোকানে শাড়ি, শেরওয়ানি এবং সালোয়ার স্যুট বিক্রি হয়; ভোজনরসিক সুস্বাদু বাংলা খাবারের আয়োজন করে যেসব হোটেল; এছাড়া আবাসিক বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, কারেন্সি চেঞ্জার এবং এমনকি রাস্তার বিক্রেতারাও— সবই নির্ভর করে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর। এখন সেখানকার নির্জন রাস্তা এবং খালি দোকানগুলো যেন এক সময়ের ব্যস্ত বাণিজ্য কেন্দ্রের বিষণ্ণ চিত্রটাকেই তুলে ধরছে।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত