করোনা নয়, আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতেই বিধিনিষেধ: দাবি বিএনপির
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:২২ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬
নতুন করে করোনা সক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তাকে অযৌক্তিক দাবি করে বিএনপি বলছে এটা বিরোধী দলের চলমান প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত ও দমন করার জন্য করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নজরুল ইসলাম খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আামির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞ মহল যখন বলছেন উম্মুক্ত স্থানের চেয়ে বদ্ধ স্থানে কোভিড বেশি ছড়ায় তখন বাংলাদেশ সরকার ১১ দফা নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উম্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে বদ্ধ স্থানে তা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এই অযৌক্তিক সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই কোভিডের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে নেওয়া হয়নি। বিরোধী দলের চলমান প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে দমন করতেই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ বিস্তারের প্রথম দিকে সরকারি অবহেলা এবং সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের দায়িত্বহীন আস্ফালন দেশের জনগণকে বিপদাপন্ন এবং কোভিডের অসহায় শিকারে পরিণত করেছে। পরবর্তী সময়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণের ও চিকিৎসা দানের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও সমন্বয়হীনতা সংকটকে জটিলতর করেছে। যার ফলে হাজারো মানুষ এমনকি স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ব্যক্তিরাও অকালে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক জনগণকে টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে আমরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এমনকি দরিদ্র ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের চেয়েও পিছিয়ে ছিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে, হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে, দোকান-পাট, শপিংমল খোলা রাখা যাবে, সারা দেশে মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিববর্ষ পালনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা যাবে সেখানে উম্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক এবং দমনমূলক বলেই আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ও অসুস্থ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসাসহ অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজ ও সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক, সমাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য যথার্থই নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে। ইতোমধ্যে জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলমান সভা সমাবেশের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা দলের সবাইকে সভা সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জনাচ্ছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত