করোনার চিকিৎসায় মুখে গ্রহণের ওষুধ আসছে: ফাইজারপ্রধান
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৬:১৮ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫
করোনার চিকিৎসায় দুটি ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। তার মধ্যে একটি মুখে গ্রহণের ওষুধ। অপরটি ইনজেকশনের মাধ্যম গ্রহণের ওষুধ। করোনার চিকিৎসায় মুখে গ্রহণের ওষুধটি আগামী বছর নাগাদ আসতে পারে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা গতকাল মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। তিনি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসিকে এই সাক্ষাৎকার দেন। বার্তা সংস্থা এএনআই এই তথ্য জানায়।
মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই টিকার প্রয়োগ চলছে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত বছরের ডিসেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার অনুমোদন দেয়। পরে অন্যান্য দেশও জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকার অনুমোদন দেয়। ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
এখন ফাইজার করোনার চিকিৎসায় ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। এ সম্পর্কে ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘আমরা আসলে দুটি ওষুধ (অ্যান্টি-ভাইরাল) নিয়ে কাজ করছি। একটি ইনজেশনের মাধ্যমে দেওয়ার ওষুধ। অন্যটি মুখে গ্রহণের ওষুধ।’
দুটি অ্যান্টি-ভাইরালের মধ্যে মুখে খাওয়ার ওষুধটির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আলবার্ট বোরলা। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মুখে খাওয়ার ওষুধের একাধিক সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে একটি সুবিধা হলো—এই ওষুধ গ্রহণের জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে না। ঘরে বসেই ওষুধটি নেওয়া যাবে।
আলবার্ট বোরলা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে তাঁরা এখন যে গতিতে কাজ করছেন, সেই একই গতিতে তাঁরা ওষুধটি তৈরির প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি তাঁদের মতো গতিশীলভাবে কাজ করে, তাহলে তাঁর আশা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওষুধটি তৈরি হয়ে যাবে।
করোনার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত একটি ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ অনুমোদন পেয়েছে। সেটির নাম রেমডিসিভির। এটি একটি ইনজেকশন। ওষুধটির প্রস্তুতকারক মার্কিন কোম্পানি গিলিয়েড সায়েন্সেস।
গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গিলিয়েড সায়েন্সেসের ভাইরাসপ্রতিরোধী ওষুধ রেমডিসিভিরের পূর্ণ অনুমোদন দেয়। তার আগে গত বছরের মার্চে ওষুধটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল এফডিএ।
আলবার্ট বোরলা বলেন, তাঁরা মুখে গ্রহণের যে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধটি নিয়ে কাজ করছেন, সেটি করোনার নানা ধরন প্রতিরোধে আরও কার্যকর হবে বলে আশাবাদী। এই বিষয়টিকে একটি সুসংবাদ হিসেবে দেখছেন তিনি।
আলবার্ট বোরলা বলেন, তাঁরা এখন তাঁদের গবেষণার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। গ্রীষ্ম নাগাদ এ বিষয়ে তাঁদের কাছে আরও তথ্য আসবে বলে জানান তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত