এলপিজির দাম কমে এখন ৯০৬ টাকা নির্ধারণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৫৭ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০১

সৌদি সিপির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিমাসে এলপিজির দাম সমন্বয় করার অংশ হিসেবে মে মাসের এলপিজির দামের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির দাম প্রতিকেজি ৭৫ টাকা ৪৯ পয়সা ধরে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম মূসকসহ ৯০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এই মাসে ছিল ৯৭৫ টাকা।

তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম আগের মতোই ৫৯১ টাকা থাকবে। যেহেতু এই দামের সঙ্গে সৌদি সিপির কোনও সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তা পর্যায়ে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দামের এই আদেশ দেয় কমিশন। এ সময় চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই এলাহী, বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, সচিব রুবিনা ফেরদৌসীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল চলতি মাসের এলপিজির দামের ঘোষণা দেয় কমিশন। এটা প্রথমবারের মতো এক দামে এলপিজি বিক্রির ঘোষণা। সাধারণত সৌদি সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। প্রতি মাসের শেষে যখন সৌদি সিপির দাম পরিবর্তন হবে, তখন কমিশন এলপিজির দাম পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে আদেশ দেবে।
 
সম্মেলনে চেয়ারম্যান জানান, এলপিজি সিলিন্ডার ছাড়াও প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৪৭ দশমিক ৯২ টাকা থেকে কমিয়ে এবার ৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। এই দাম ১ মে থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া ৫.৫, ১২.৫, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৩, ৩৫ ও ৪৫ কেজি এলপিজির দামও বিইআরসি আদেশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। যা কমিশনের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৫৬০ ডলার এবং ৫৩০ ডলার অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৫৪০ দশমিক ৫০ ডলার বিবেচনা করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এলপিজি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম উপজাত প্রোপেন ও বিউটেনের সংমিশ্রণ। এটি ১০-১৫ বার চাপ দিয়ে তরল গ্যাসে রূপান্তর করা হয়। সাধারণ তাপমাত্রায় এটি গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়।

ইদানীং আবাসিক এ শিল্পে কেন্দ্রীয়ভাবে এলপিজির ব্যবহার শুরু হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে একসঙ্গে বাসা বা কারখানার নিচে বা পাশে বড় সিলিন্ডার থেকে এলপি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সিলিন্ডার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাসায় বাসায় বা কারখানায় সরবরাহ করা হচ্ছে গ্যাস। এটির দামও কমিশন পুনর্নির্ধারণ করেছে।

সম্মেলনে বলা হয়, এই রেটিকুলেটেড সিস্টেমে সরবরাহ করা এলপিজির দাম ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতিকেজি ৬৮ টাকা ৪৪ পয়সা এবং মূসকসহ ৭৩ টাকা ২০ পয়সা অথবা লিটার হিসেবে প্রতি লিটার মূসক ছাড়া ০ দশমিক ১৫২৬ টাকা এবং মূসকসহ প্রতি লিটার ০ দশমিক ১৬২৬ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে কমিশন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত