এবার এইচএসসির ফল হবে যেভাবে
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৪ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় স্থগিত হওয়া বিষয়গুলোর ফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফল অনুসারে। অর্থাৎ এসএসসি ও সমমান কোনও পরীক্ষায় যে বিষয়ের যে নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসি ও সমমানে সেই নম্বর পাবে। আর যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল যেগুলোর খাতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল দেওয়া হবে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘স্থগিত পরীক্ষাগুলোর ফল দেওয়া হবে এসএসসি ও সমমানের সাবজেক্ট ম্যাপিং করে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার ফল দেওয়া হবে খাতা মূল্যায়ন করে।’
একটি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং কীভাবে হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যে নম্বর পেয়েছিল, যেমন ধরা যাক পদার্থ বিজ্ঞানে এইচএসসি বা সমমানের যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতেও তত নম্বর পাবে।’
চলতি মাসের শুরুতে স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য জেএসসি ও এসএসরি ফলাফলের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল দেওয়ার প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ওই প্রস্তাবের আলোকে মন্ত্রণালয় শুধু এসএসসির ফলের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডর প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, জেএসসির বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এইচএসসির ৭৫ শতাংশ যোগ করে যে নম্বর পাবে সেই নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে।
কবে নাগাদ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাছি ফল প্রকাশ করা হবে।
এর আগে ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে পরীক্ষা নিতে পারা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই সময় জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বরের গড় করে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার সারা দেশে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। অটো পাস ঘোষণা না দিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানায় তারা। পরে অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো আর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি সেগুলোর ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত