এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ভোটে সমস্যা, মন্ত্রীপরিষদকে ইসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ জুন ২০২১, ০৮:৩৯ |  আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬

ভোটার তালিকা করতেই হচ্ছে। পাশাপাশি তৈরি হয়ে যাচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। এ কারণেই এনআইডির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত। এমন আটটি যুক্তি তুলে ধরে মঙ্গলবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

তাদের দাবি, এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গেলে ভবিষ্যতে ভোটগ্রহণে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

২০০৭ সাল থেকে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি ও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এনআইডির কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নির্বাচন কমিশনের। এনআইডি কেন কমিশনের অধীনে রাখা দরকার তার যুক্তি দিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশনের নিজস্ব জনবল ও অবকাঠামো দিয়ে এনআইডি পরিচলনা করা হচ্ছে। এনআইডির দায়িত্ব অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলে নতুন করে তৈরি করতে হবে অবকাঠামো। প্রয়োজন হবে জনবল, প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি। যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।

 নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বললেন, ভোটার তালিকা, এনআইডি ও ইভিএম একটি আরেকটির সঙ্গে জড়িত। এনআইডি কমিশন থেকে সরিয়ে নিলে ভবিষ্যতে ভোট গ্রহণে সমস্যা হতে পারে।

বর্তমানে ১৪৮টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এনআইডি সেবা দিচ্ছে কমিশন। ফলে দায়িত্ব সরানো হলে তৈরি হতে পারে আইনি জটিলতা, দাবি কমিশনের। উল্লেখ্য, গত ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক চিঠিতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগে স্থানান্তরের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত