একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে মেধা-মননচর্চার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে: রাষ্ট্রপতি

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৮ |  আপডেট  : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একুশে পদক প্রদান করার মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানিত করে দেশে মেধা ও মননচর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে।  

২০ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক  বাণীতে তিনি  একথা বলেন। ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প, সমাজ, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ যেসব খ্যাতিমান বিশিষ্ট নাগরিক ‘একুশে পদক ২০২২’ পেয়েছেন, তাঁদের তিনি  আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন,  মহান ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল।  তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’-এর নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনসহ  বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ২১শে ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করছে। বাংলাদশের মাতৃভাষা দিবস আজ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষাকে সম্মান জানানোর উৎসবে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন,  ভাষা শহিদদের গৌরবদীপ্ত আত্মত্যাগের স্মৃতিবাহী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবছর একুশে পদক প্রদান করে আসছে। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণিজনরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে দেশে মেধা ও মননচর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে।  

আবদুল হামিদ বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাগরিকগণ দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সংস্কৃতি বিকাশে তাঁদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেবেন -এ প্রত্যাশা করি।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত