ওবায়দুল কাদের

একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম, আর সেই সুযোগ নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪২

রোহিঙ্গারা এখন আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কত দিন বইব?’

নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বনানীর সেতু ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় জোরালো যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আর এর রেশ এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। দেশটি থেকে ছুটে আসা গুলিতে হতাহতের ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও কক্সবাজারের উখিয়া এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংঘর্ষের সময় বিক্ষিপ্তভাবে ছুটে আসা গুলিতে হতাহতের পাশাপাশি বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা প্রাণভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। যারা রয়ে গেছে তাদেরকেও সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

এ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। আরাকান আর্মিদের তাদের দেশের সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গেছেন। চীনের সঙ্গেও আমরা আলাপ আলোচনা করছি।’

সড়কে প্রাণহানি নিয়ে তিনি বলেন, ‘রোড এক্সিডেন্ট ও ক্যাজুয়ালটিস যেভাবে বাড়ছে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না কিছু সমন্বিত পদক্ষেপ ও সচেতনতার অভাবে। এটি চার হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে এক হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। বাকি তিন হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক জনপথ, বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ ও ডিজিএইচএস।’

সড়কে হতাহত কমাতে নেওয়া এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘অগ্রগতি যেটুকু হয়েছে আমি সন্তুষ্ট না। এটা আমার ফার্স্ট প্রায়রিটি হিসেবে নিয়েছি। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে চলে যাওয়ার পর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করিনি। কিন্তু এই প্রস্তাব দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে গ্রহণ করি।’

বিএনপির করা মন্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় আমার নেই। তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। তাদের মধ্যে ব্যর্থ আন্দোলন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া-- এসব কারণে একটা হতাশা আছে। এ কারণে তারা বিরোধিতা করছে, করবে।’

‘তারা তো বিরোধী দল, তাদের পেছনে কিছু তো বলতেই হবে। বললে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। কারণ তারা এখন কোনো কিছু ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। এই হতাশা থেকে তারা এসব আবোল-তাবোল বলছে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই, এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই,’ বলেন তিনি।


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত