উদ্বেগ উৎকন্ঠা থাকলেও কাউনিয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে

দেশে চলমান সহিংসতায় রংপুরে কাউনিয়া উপজেলায় বর্তমান পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর নানা পদক্ষেপে সাধারন মানুষ আতংক থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে শুরু করেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে কৃষক আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। পেটের দায়ে শ্রমজীবীরা বেরিয়ে এসে কাজে যোগ দিয়েছে। মনে অজানা আতংক থাকলেও ব্যবসায়ীরা অন্য সময়ের মতো সাভাবিক ভাবেই দোকান পাট খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সড়কে বাস ট্রাক রিক্সা ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। ব্যাংক অফিস গুলো সরকারের নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলছে। কাউনিয়ায় কোটা আন্দোলনের যৌক্তিক দাবীর প্রতি অধিকাংশ মানুষের সমর্থন থাকলেও জালাও পোড়াও সহিংসতা সমর্থন করেনা। সাধারন মানুষ তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে শংকায় রয়েছেন। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা সবচেয়ে বেশী। শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে যেমন রয়েছে অসন্তোষ তেমনি রয়েছে শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষা নিয়ে জীবনত পরিচালিত করার কতটুকু সুযোগ পাবে সেই প্রশ্নও অনেকের। বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষকে ফেলেছে চর বিপাকে। দেশে কয়েকদিনের ঘটনায় সবকিছু বন্ধ থাকায় সঞ্চিত অর্থ যা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মুনষের। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় জীবন সংগ্রামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে সাধারন মানুষ। তবুও অজানা শংকা কাটছে না সাধারন মানুষের মন থেকে।

উপজেলার টেপামধুপুর ও হারাগাছ এলাকায় কতিপয় মানুষ আন্দোলন করার যে প্রস্তুতি গ্রহন করেছিল তা প্রশাসন স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রন করেছে রিক্সা চালক আনারুল জানায়, আমরা সংঘাত নয় দেশে শান্তি চাই, রিক্সা চালিয়ে সেই আয় দিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে চাই। কাউনিয়া থানা প্রশাসন জানিয়েছে, যে কোন সংঘাত মোকাবেলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে তার প্রস্তুত রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, আরও স্বাভাবিক হবে। প্রশাসনের নানামুখি উদ্যোগের ফলে কাউনিয়ায় মানুষের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। 

সান