ই-অরেঞ্জের পাচারের অর্থ ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের মাঝে বণ্টনের নির্দেশ
প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২২, ১৪:১২ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণার ঘটনায় অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যে সব অর্থপাচার হয়েছে তা ফেরত এনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এ বিষয়ে আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ই-অরেঞ্জের প্রতারণা ও অর্থপাচারের ঘটনা তদন্তে কেন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫০০ গ্রাহকের দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে ৩ এপ্রিল ৭৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫০০ গ্রাহক। রিটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাওয়া হয়। তারেক আলমসহ ৫ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম এ রিট দায়ের করেন।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন। সঠিক সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে রয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত