ইসি গঠন আইন বাকশালের মতো: মির্জা ফখরুল

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৩০ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪১

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ চরিত্রগতভাবে স্বৈরতান্ত্রিক দল, একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই দল যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদেরকে বাদ দিয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের যারা নেতৃত্বে এসেছিলেন তাদের অন্তরে ও গঠনে ডেমোক্রেসি ছিল না। তাই ১৯৭১ সালের পরে অতিদ্রুত আওয়ামী লীগ সেই পথে ধাবিত হল এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করল। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করল। 

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন বাকশালের মতো বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব  বলেন, ‘সরকার একটা আইনও তৈরি করলো কয়েকদিন আগে। ঠিক সেই বাকশালের মতোই। বাকশাল ১১ মিনিটে ছিল, এটা সাতদিনের মধ্যে একটা প্রহসন করে তাঁরা আইনও পাস করে নিলো সংসদে।

রোববার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিনগুলোর মধ্যে সবচাইতে কলঙ্কযুক্ত একটি দিন। কারণ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীন মুক্ত চিন্তার একটি সমাজ বিনির্মাণের জন্য। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালেই শুধু এদেশের মানুষ যুদ্ধ করেননি। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই এদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ -এর স্বাধীনতার যুদ্ধ পর্যন্ত নিরন্তর সংগ্রাম করে গেছে। বাকশাল ছিল সেই সংগ্রামী মানুষগুলোর সাথে একটি প্রতারণা।
 
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটি শুধুমাত্র একটি ভূখণ্ডের জন্য নয়। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য ও সমাজকে গণতান্ত্রিক করার জন্য। জনগণের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়ে ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল' প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ কলঙ্কময় দিনটিকে স্মরণ করার জন্য ও সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি আজকে যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্ব এবং সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় ভার্চুয়াল সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য রাখেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না। ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সাল, তারপর ’৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা এবং গত ১৪ বছর আওয়ামী লীগের শাসন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার, রাতে অন্ধাকারে ডাকাতির সরকার আজকে গায়ের জোরে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশেও আজকে সেই বাকশালের চিন্তা চেতনা অলিখিতভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

গয়েশ্বর রায় বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে বাকশালের কোনো তফাৎ নেই। ’৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ করা হয়েছিল। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত