ইউরিয়া সারের দাম বাড়ল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২২, ২১:০৯ |  আপডেট  : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১১

ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এখন থেকে প্রতিকেজি ইউরিয়া সার ১৬ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হবে ২২ টাকা দরে। নতুন এই মূল্য সোমবার ১ আগস্ট ২০২২ থেকে কার্যকর হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকার জানিয়েছে, ‘ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ টাকা হতে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার।’

কৃষি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়ার বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এতে ৬ টাকা দাম বাড়ানোর পরও প্রতিকেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে।

গত একবছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বেড়েছে। এর ফলে দেশে সারে প্রদত্ত সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমন মৌসুম (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে মজুত আছে ৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন।

টিএসপির আমন মৌসুমে চাহিদা ১ লাখ ১৯ হাজার টন, মজুত ৩ লাখ ৯ হাজার টন। ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ২৫ হাজার টন, মজুত ৬ লাখ ৩৪ হাজার টন এবং এমওপির চাহিদা ১ লাখ ৩৭ হাজার টন, বিপরীতে মজুত রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টন।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সারের মূল্য চার দফা কমিয়ে স্বল্প দামে পর্যাপ্ত সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।

ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপির মূল্য ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে গত কয়েক বছরে ডিএপির ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন। এখন হচ্ছে ১৬ লাখ টন।

তবে বিপরীতে ইউরিয়ার ব্যবহার ততটা কমেনি। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, এখন হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত