ইউক্রেনে নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫১ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৮
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক সদস্য নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে এবং প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে দেশটিতে বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এমনকি যুদ্ধে প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে সম্মুখ সমরে নিহত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি বলেও জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিবিসি রাশিয়ান, স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করছে। এছাড়া কবরস্থানে নতুন কবর অনেক সৈন্যের নাম প্রদান করতে সাহায্য করেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
বিবিসি বলছে, তাদের অনুসন্ধান অনুসারে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রাশিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছেন। ঠিক কী বিশাল সংখ্যক জীবনের বিনিময়ে রাশিয়া ভূখণ্ড দখল বা আঞ্চলিক অগ্রগতি লাভ করেছে তার প্রতিফলন এই সংখ্যার মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
রাশিয়া অবশ্য সেনা নিহতের সংখ্যা বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৫০ হাজারেরও বেশি। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেনা মৃত্যুর বিষয়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল মস্কো। আর তাদের সেই প্রকাশ্য স্বীকৃতির পরিসংখ্যানের চেয়ে সেনা নিহতের বর্তমান সংখ্যা আট গুণেরও বেশি।
বিবিসির এই বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে - রুশ-অধিকৃত দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে মিলিশিয়া যোদ্ধাদের মৃত্যুর সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইরত সেনাদের মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। এদিকে ইউক্রেন তার যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির মাত্রা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে।
যদিও ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনাদের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যেসব পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত