আমাদের ব্যর্থতা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই - আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:০৩ | আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৮

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন না যে আমাদের খুব আত্মতুষ্টির স্কোপ আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত ৬ মাসে মাঝে মাঝে ভালো হয়েছে। মাঝে মাঝে খারপ হয়েছে। যখন খুব খারপ কিছু হয়। আমরা প্রচণ্ড আত্মজিজ্ঞাসার সম্মুখে পড়ি। খুবই খারাপ লাগে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর ভেড়িপাড়া এলাকার পিটিআই মিলানায়তনের সামনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এর আগে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল রাজশাহী পিটিআই মিলানায়তনে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমার অত্যন্ত একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। আমাদের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে একটা নতুন শাসনব্যবস্থার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে সে সময় যে গণহত্যাগুলো হয়েছিল, সেটার বিচারের সুযোগ ও সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এখানে অতীতে অনেক গায়েবি মামলা হয়েছে। আমরা সামগ্রিকভাবে দেখতে এসেছি, এখানে যারা স্টেক হোল্ডার আছে, ডিসি, ইউএনও, ওসি, পুলিশ প্রশাসন আছে, বিচারকরা আছেন তারা যেন সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত প্রমাণ আছে। যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ আছে, তাদের ব্যাপারে যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আবার কেউ যেন অযথা হয়রানির মধ্যে না পড়ে। উনারা যেন সবগুলো প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে একসঙ্গে জোরালোভাবে কাজ করতে পারে। মানবাধিকার রক্ষা করে বিচারের যে পরিস্থিতি, পরিবেশ সেটা সুনিশ্চিত করতে পারে। সেই লক্ষ্যে যেন কাজ করতে পারে। সেরকম দিক নিদের্শনা দেওয়া। মতবিনিময় করে উনাদের সমস্যাগুলো শোনা। এ ব্যাপারে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন। আপনারা জানেন তাদের ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে কি ঘাটতি ছিল। তাদের দায়িত্বপালনেক কিছু ব্যর্থতা থাকতে পারে। পুলিশ, বিচার প্রশাসন সবক্ষেত্রে আমরা বলতে চাই, আমরা ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। যারা প্রকৃত ফ্যাসিস্ট শক্তি আছে এরা মেজোরেটি তো দেশে থেকে গেছে। এদের হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা। এটা তো বানানো কথা না। টাকা থাকলে, বদ মতলব থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার মতো অনেক কিছু করা যায়। তাদের একটা রুল থাকতে পারে। আছেও বলে আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি। এছাড়া যারা স্বভাবগত অপরাধী তাদেরও ভূমিকা আছে।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যর্থতা আছে এটা কোনরকম অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমাদের এই ব্যর্থতা উত্তরণের জন্য প্রচণ্ড তাড়না ও চেষ্টা আছে। আমরা চেষ্ট করছি। আপনারা জানেন যে, বিপ্লব উত্তর পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোনো দেশেই শাসনকার্য চালানো খুব সহজ ব্যাপার না।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত