আবারও করোনায় নতুন নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ইউরোপজুড়েই বিক্ষোভ
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২১, ১১:০২ | আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৮
আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করা হয়েছে। আর এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ইউরোপের নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে। এই প্রতিবাদের মাঝেই লকডাউন শুরু হয়েছে অস্ট্রিয়ায়।
রোববার মধ্যরাত থেকেই ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয় অফিস আদালতের কজ বাড়ি থেকে করতে।প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে দোকান-পাট। কারণ সোমবার থেকে ২০ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে দেশটিতে।
এরআগে নতুন করে লকডাউনের ঘোষণার পরপরই দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে হাজারও মানুষ।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. হান্স ক্লুজ বলেছিলেন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আসছে বছর করোনায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে শুধু ইউরোপের দেশগুলোতেই।
এদিকে আংশিক লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ চলছে নেদারল্যান্ডসে। সেখানে চলমান বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুলিও ছুঁড়েছে পুলিশ। এতে তিন জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এই বিক্ষোভকে এখন দাঙ্গা হিসাবেও উল্লেখ করছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বেলজিয়ামের রাস্তায় নামা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেও পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। দেশটিকে আগে থেকেই গণ জমায়েতের মত জায়গাগুলোতে ‘কোভিড পাস’ লাগত। কিন্তু এখন কঠোর বিধি আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে সব স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনাও নিয়েছে সরকার।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-পদযাত্রায় নামেন দেশটির হাজারো মানুষ। এ সময় তাদের ওপর জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
ফ্রান্স সরকার রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার স্থান এবং দূরের ভ্রমণে কোভিড পাসের বিধি আরোপ করেছে। এর প্রতিবাদে ক্যারিবিয় দ্বীপ গুয়াদেলুপে বিক্ষোভের শুরু হয়।
এদিকে ক্রোয়েশিয়ায় সরকারি কর্মীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে রাজধানী জাগরেবে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ।
এর আগে ইউরোপে আবারও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ডব্লিউএইচও’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ বলেছিলেন, “ইউরোপে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুব চিন্তিত। জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী মার্চ মাস নাগাদ ইউরোপে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড হতে পারে। “
তিনি বলেছেন, "শীতের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ টিকা না নেওয়া এবং করোনার ডেলটা ধরনের কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।"
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত