আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ২০:২০ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৯
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছেন, আমাদের সক্ষমতা অনেক আছে। কিন্তু জ্বালানি ঘাটতির জন্য আমরা পারছি না। আমাদের সরকার সব সময় সচেতন। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন। ইনশাল্লাহ যদি বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে তো আর কোনও প্রশ্ন ওঠে না। না হলে আমাদের জ্বালানি ঘাটতির জন্য আমাদের কষ্ট করতে হবে।
আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিস এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড.মশিউর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটা প্রকল্প থেকে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। রামপাল এ বছরের শেষে আসতে পারে। আর ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে বিদ্যুৎ আগামী বছরের শুরুতে আসতে পারে। এজন্য তিন থেকে চার মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। শীত হলে হয়তো কিছুটা চাহিদা কমবে। সে হিসেবে কষ্ট একটু কমতে পারে কিন্তু আমাদের ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন সবাই কয়লাবিরোধী। তবু আমরা দেখলাম, যদি কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি তাহলে দুঃসময়ে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ আসতে পারে। সে জন্য আপনারা দেখবেন, এই দুঃসময়ে কয়লাটা কাজে আসবে। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তো ধারণা নেই। সে জন্য আমরা আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে অন্তত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সৌর বিদ্যুৎ থেকে আনা যাবে। সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাহলে দিনের বেলা আমাদের জ্বালানি কিছুটা হলেও বাঁচবে। সেচের মোট চাহিদার পুরোটাই সোলার সিস্টেমের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, ভোলায় কিছু গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাসগুলো সিএনজি করে এদিকে আনতে পারি কি না। আমরা আশা করছি, ৮০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস আমরা ভোলা থেকে আনতে পারবো। আমাদের যেসব কূপ আছে, আমরা সেগুলোর কাজ করছি। এর মধ্যে এলএনজির দাম কমলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত